কোন খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ কত, কোন খাবারে সুগার বেশি – লিখতে হবে আরও স্পষ্ট করে, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
যে কোনও প্যাকেটবন্দি খাবারের ক্ষেত্রে তার পুষ্টিগুণ বড় এবং মোটা হরফে প্যাকেটে উল্লেখ করতে হবে প্রস্তুতকারককে। গ্রাহকেরা যাতে খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আরও বেশি করে সচেতন হন, তার জন্যই এই প্রস্তাব রাখা হয়েছিল এফএসএসএআইয়ের কাছে। কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দিয়েছেন। খাবারে চিনি, নুন এবং ফ্যাটের মাত্রা কত, এ বার থেকে তা আরও স্পষ্ট ভাবে ওই খাবারের প্যাকেটে উল্লেখ করতে হবে। এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে সম্প্রতি সায় দিয়েছে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি এফএসএসএআইয়ের চেয়ারপার্সন অপূর্ব চন্দ্রের সভাপতিত্বে খাদ্য কর্তৃপক্ষের ৪৪ তম বৈঠক হয়। তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক ছাড়াও বাণিজ্য ও উপভোক্তা মন্ত্রক, খাদ্য মন্ত্রক, আইন মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, খাবারের প্যাকেটে চিনি, নুন, ফ্যাট, সোডিয়াম ইত্যাদির মাত্রা আগের চেয়ে মোটা, বড় এবং স্পষ্ট হরফে লেখা হবে। যাতে কেনার সময়ে সহজে গ্রাহকদের চোখে পড়ে।
খাবারে চিনি, নুন এবং ফ্যাটের মাত্রা কত, এ বার থেকে তা আরও স্পষ্ট ভাবে ওই খাবারের প্যাকেটে উল্লেখ করতে হবে। এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে সম্প্রতি সায় দিয়েছে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ। কোন খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ কত, কোন খাবারে চিনি বেশি রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই তা না জেনে কিনে ফেলেন সাধারণ গ্রাহকেরা। খাবারের প্যাকেটে নাম, দাম কিংবা ছাড়ের কথা যে ভাবে লেখা থাকে, পুষ্টিগুণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি সে ভাবে লেখা থাকে না।
কিছু দিন আগে নির্দিষ্ট পানীয়কে ‘পুষ্টিকর পানীয়’ (হেল্থ ড্রিংক) এর তকমা দেওয়ার বিরোধিতা করে জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল এফএসএসএআই। যে কোনও ফলের রসের বিজ্ঞাপন থেকে ‘১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ’ তকমাও সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। কারণ, শুধু ফল ছাড়াও একাধিক জিনিস দিয়ে ফলের রস তৈরি করা হয়।উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে খাবারের প্যাকেটে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছাপানোর বিরোধিতা করে আসছে এফএসএসএআই।