জঙ্গিপুরে তৃণমূল বিধায়কের হোস্টেলে ফার্মাসি ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
আরজি কর কাণ্ডের ঘটনা এখনও ভোলা যায়নি, তার মধ্যেই জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের হোস্টেলে মালদহের এক ফার্মাসি ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মৃত ছাত্রের নাম তোহিদ করিম। জাকির হোসেন ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল সে। চলতি মাসের ১৩ তারিখ রাত্রে কলেজের হোস্টেলে তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, তোহিদকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।
ঘটনার পর পরিবার স্থানীয় রঘুনাথগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই অভিযোগ নেওয়া হবে। এমনকি কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং থানা থেকে সংবাদমাধ্যমে না জানানোর জন্য বলা হয়েছিল।
মৃত ছাত্রের বাবা, রেজাউল করিমের অভিযোগ, ১২ তারিখ রাত্রে ছেলের সাথে কথা হয়েছিল। ছেলে বাড়ি থেকে আমের আচার এবং ছাতু আনার কথা বলেছিল। কোনরকম মানসিক অবসাদে ছিল না তার ছেলে। যদি মানসিক অবসাদে থাকত তাহলে ১২ তারিখ রাত্রে ছেলের কথা বার্তায় তারা বুঝতে পারত।
রেজাউল করিম জানান, তিনি পেশায় লরি চালক এবং ১৩ তারিখ রঘুনাথগঞ্জে ছিলেন। সকাল থেকে ছেলের ফোনে সুইচ অফ আসছিল। রাত নটা নাগাদ হোস্টেলে গিয়ে ছেলের রুমমেটের কাছ থেকে তোহিদের মৃত্যুর খবর পান। হোস্টেলে গিয়ে দেখেন ছেলের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ তাদের দেখানো হয়নি। তাদের খবর দেওয়া হয়নি অথচ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে।
রেজাউল করিমের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তাই বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি। পুলিশ বলেছিল ময়না তদন্তের সময় তাদের উপস্থিতিতে হবে অথচ তাদের জানানো হয়নি এমনকি এখনো পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ নেয়নি পুলিশ।
মালদার ইংলিশ বাজার থানার যদুপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তোহিদ করিম। পাড়াতে খুব মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত ছিল সে। তাই তার মৃত্যু কোনভাবেই তারা মেনে নিতে পারছে না। পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিলে আরজি করের ঘটনার মতো তারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে আজ সোচ্চার হন তারা। তোহিদের ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে ভালো কিছু হওয়ার। এই ছেলে আত্মহত্যা করতেই পারে না। পরিকল্পনা করে হোস্টেলেই মারা হয়েছে তাকে। যেহেতু ওই ইনস্টিটিউটটা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের। তাই পুলিশ এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে লিখিত অভিযোগ নিচ্ছে না।
এই অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় যদুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য সেনাউল ইসলাম।