বর্ধমান

দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের খাবারের বিল নিয়ে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলেছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান

দুয়ারে সরকার' ক্যাম্পের খাবারের বিল নিয়ে 'দুর্নীতি'র অভিযোগ তুলেছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান

দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের খাবারের বিল নিয়ে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলেছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান। খাবার সরবরাহকারী সংস্থাকে বেশি টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছিল। প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন বর্ধমান-২ ব্লকের কুড়মুন-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তারা মালিক।

ডিম ভাতের অতিরিক্ত বিল ধরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের কুরমুন টু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তার মালিক । এই নিয়েই শুরু হয় প্রধান এবং উপ প্রধানের মধ্যে দূরত্ব । এই বিলে অসঙ্গতি রয়েছে বলে সই করতে চাননি প্রধান তারা মালিক। এর ফলে বেশ কিছুদিন তিনি পঞ্চায়েতে আসছিলেন না । তারই মধ্যে ষষ্ঠ দফায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি ক্যাম্প হয । এই ক্যাম্পে টিফিন বাবদ একটা বিল নিয়ে শুরু হয় নানা রকম অশান্তি ।

পঞ্চায়েত এলাকায় ষষ্ঠ দফার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে বিভিন্ন কাজে অংশ নেওয়া কর্মীদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেছিল পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুশোজনকে দুপুরে ডিম-ভাত খাওয়ানো হবে। কিন্তু পরবর্তীকালে খাবার সরবরাহকারী সংস্থা মোট আড়াইশো জনের বিল জমা দেয়। এমনকী ডিম-ভাতের জন্য ৬৫ টাকা করে বিল করে ওই সংস্থা। প্রধান তাতে আপত্তি জানান। বিলে সই করতে অস্বীকার করেন প্রধান।

এই নিয়ে উপপ্রধানের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়।এই নিয়ে বর্ধমান ২নম্বর ব্লক বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানান, কুড়মুন টু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তারা মালিকের পদত্যাগ পত্র আমি পেয়েছি। যদিও তিনি রিসিভিং সেকশনে দিয়ে চলে গেছেন আমার কাছে সাবমিট করেননি। তারপর ডাক মারফত আজ তার পদত্যাগ পত্রটি আমার কাছে এসেছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের কিছু বিল নিয়ে তার সঙ্গে উপপ্রধান এবং পঞ্চায়েতের কিছু লোকদের মধ্যে অসঙ্গতি হয় সেই জন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ পত্রটি এটি লেখা আছে।

এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য গৌরব সমদ্দার জানান, আজকে পশ্চিমবাংলা যে জায়গায় এসে দাড়িয়েছে ডিম ভাতের পয়সা টুকু তারা ছারতে পারছেনা।পরিষ্কার হিসাব সেটা ডিম হোক কিংবা বালি পয়সা কিন্তু তৃনমূলের প্রধান হোক কিংবা উপপ্রধান হোক যারি হোক টাকা কিন্তু লাগবেই কারন টাকা না কামাতে পারলে সেই টাকা কালিঘাটে দেওয়া যাবে না,আর কালিঘাটে যদি কম টাকা পাঠাই তাহলে আমার চেয়ারটা থাকবেনা তাই সেটা ডিম হোক বা বালি টাকা তাদেরকে তুলতেই হবে।তার প্রতিফলন আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি,একজন প্রধানকে ইস্তফা দিতে হচ্ছে। এর থেকে লজ্জাজনক কিছু হয়,একটা সামান্য ডিমের পয়সাকে কেন্দ্র করে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button