মোকার আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না জেলার আম চাষিদের
মোকা আসবে না। উল্টে তীব্র দহন জেলায় ভুগছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা। তা সত্ত্বেও ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না জেলার বেশ কিছু আম চাষিকে। অনাবৃষ্টির পরে ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনে তাদের মাথায় চেপেছে চিন্তার বোঝা। তারা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, সত্যি কি মোকার সঙ্গে তাদের মোকাবিলা করতে হবে না তাদের কয়েক মাসের পরিশ্রমকে। যদি ঘূর্ণিঝড় আসে, তাহলে পথে বসতে হবে এই আশঙ্কা নিয়ে ভুগছেন লাউদোহা এলাকার কয়েকজন আম চাষী।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর ফরিদপুর এলাকার তিলাবনি গ্রামে কয়েক একর জায়গা জুড়ে রয়েছে বিশাল আমবাগান। এই জায়গায় বহু প্রজাতির আমের গাছ রয়েছে। এই আমবাগানের উপর ভরসা করে চলে কয়েকজন আম চাষীর সংসার। একইসঙ্গে আমবাগানে নিরাপত্তা, পরিদর্শন, পরিদর্শন করে সংসার চলে আরও কয়েকজনের। কিন্তু অনাবৃষ্টির ফলে এবার সেই আম বাগানে ফলন হয়নি আশা ব্যঞ্জক।
তার ওপর রয়েছে নানারকম উপদ্রব। এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আসার কথা শুনে রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন আম বাগানের লিজ নেওয়া চাষিরা। যদিও ঘূর্ণিঝড় মোকার জেলায় প্রভাব ফেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবুও সেই ভয় কাটিয়ে উঠতে পারছেন না চাষীরা।
এই বিষয়ে লিজ নেওয়া চাষিরা বলছেন, বৃষ্টি কম হয়েছে। ফলে প্রচুর সংখ্যক আমের মুকুল ঝরে গিয়েছে। আশা অনুযায়ী ফলন হয়নি। এই বাগান থেকে সরাসরি আমি কিনতে অনেকজন আসেন। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন বাজারে এই বাগান থেকে আম যায় বিক্রির জন্য। সেই ভরসাতেই তারা অনেক টাকা বিনিয়োগ করেন আম চাষের জন্য। এই আম বাগানের উপর ভরসা করে অনেকের সংসার চলে।
এরপর যদি ঘূর্ণিঝড় বা বড় মাপের ঝড়-বৃষ্টিতে আম নষ্ট হয়, তাহলে ঘর সংসার চালানো দায় হয়ে উঠবে তাদের কাছে। সেই কারণেই রীতিমতো আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছেন চাষিরা।