Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
ঝাড়গ্রাম

ওড়িশার রেল দুর্ঘটনায় মৃত ঝাড়গ্রামের যুবক, জখম জেলার ১৮ জন

স্বপ্নীল মজুমদার

ওড়িশার রেল দুর্ঘটনায় মৃত ঝাড়গ্রামের যুবক, জখম জেলার ১৮ জন
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মৃত যাত্রী শঙ্কর নায়েকের মৃতদেহ ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইলের ডুমুরিয়া গ্রামে আসার পর জেলা পুলিশের তরফে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন জেলার ডিএসপি ডিএনটি সব্যসাচী ঘোষ ইনসেটে মৃত শঙ্কর নায়েক

ওড়িশায় বাহানাগা বাজারের কাছে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার এক যাত্রীর। তিনি শুক্রবার খড়্গপুর থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপেছিলেন। মৃতের নাম শঙ্কর নায়েক (৩০)। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানার ডুমুরিয়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ে দিন মজুরের কাজ করতেন শঙ্কর।

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গত জানুয়ারি মাসে বাড়িতে এসেছিলেন। ছ’মাস পর চেন্নাইয়ে কাজে যোগ দিতে ফিরছিলেন শঙ্কর। শুক্রবার বিকেলে খড়গপুর স্টেশন থেকে শঙ্কর এবং তাঁর দুই বন্ধু কালীচরণ নায়েক ও অনুপ নায়েক করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চাপেন। কালীচরণ ও অনুপের চিকিৎসা চলছে ওড়িশার বারিপদা হাসপাতালে।

ফোনে হাসপাতাল থেকে কালীচরণ বলেন, আমার পায়ে চোট লেগেছে। অনুপের মাথায় আঘাত লেগেছে। শঙ্করের দুই নাবালক ছেলে রয়েছে। সংসারটা ভেসে গেল। শনিবারই শঙ্করের দেহ ডুমুরিয়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছয়। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহে শ্রদ্ধা ও মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যান জেলা পুলিশের ডিএসপি (ডিএনটি) সব্যসাচী ঘোষ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জখমদের মধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলার ১৮ জন রয়েছেন।

যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসে কটক থেকে ফিরছিলেন ঝাড়গ্রাম থানার বেতকুন্দ্রি গ্রামের খলিল খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে রফিক খান ও জামাই ইমরাজ খান। রেল দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেলেও জখম হয়েছেন তিন জনই। এঁদের মধ্যে গুরুতর জখম খলিল ও রফিক ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওড়িশার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গোপীবল্লভপুরের দুই যুবক। পঙ্কজ বেজ ও শুভেন্দু বেজ নামে ওই দুই যুবকের বাড়ি গোপীবল্লভপুর থানার আলমপুর গ্রামে। পঙ্কজ ও শুভেন্দু করমন্ডল এক্সপ্রেস ধরে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। পরে জানা যায়, দু’জনেই ওড়িশার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জখমদের বাড়ি ফেরানোর জন্য খড়গপুর স্টেশন থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button