সহস্ত্রধারা স্নান কি? জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথদেবের স্নান যাত্রা আসলে কি?
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
দেবস্নান পূর্ণিমা ‘স্নানযাত্রা’ বা সহস্ত্রধারা স্নান নামে পরিচিত। জগন্নাথ রথযাত্রার আগে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান জগন্নাথের স্নানযাত্রা পালন করা হয়। পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রার আগে দেবস্নান পূর্ণিমা একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান।
সহস্ত্রধারা স্নান কি ? জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান জগন্নাথ, দেবী সুভদ্রা ও বড় ভাই বলভদ্রকে গর্ভগৃহ থেকে স্নান মণ্ডপে আনা হয়। দেবতাদের স্নানের জন্য ব্যবহৃত জল জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরের কূপ থেকে পবিত্র জল নেওয়া হয়। স্নান অনুষ্ঠানের আগে, পুরোহিতরা কিছু পূজা ও আচার অনুষ্ঠান করা হয়।
এই বিশেষ আচারের সময় ভগবান জগন্নাথ, দেবী সুভদ্রা ও ভগবান বলভদ্রকে পূর্ণ ভক্তি ও উত্সর্গের সঙ্গে পূজার্চনা করা হয়। সম্পূর্ণ রীতিগুলি অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে পালন করা হয়। ভগবান জগন্নাথ মন্দিরের সবচেয়ে প্রত্যাশিত রীতি-রেওয়াজগুলির মধ্যে অন্যতম। অনেকের মতে, ভগবান জগন্নাথের জন্মদিন হিসেবেও পালন করা হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা পুরীর মন্দিরের এই বিশেষ অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে আসেন। এ বছর দেবস্নান পূর্ণিমা পালন করা হয়, ৪ জুন, রবিবার। এরপর পুরো ১৪ দিন ভগবানের দেখা পাওয়া যাবে না। এ সময় জগন্নাথ মন্দিরের দরজাও বন্ধ থাকে। টানা ১৫ দিন পর মন্দিরের দরজা খুলে আবার দেওয়া হয়। তারপরেই শুরু হয় জগন্নাথ রথযাত্রা।
জগন্নাথ মন্দিরের তিনটি প্রধান দেবতাকে স্নান করার জন্য মোট ১০৮টি সুগন্ধযুক্ত জল ব্যবহার করা হয়। স্নানের জলে সুগন্ধি ফুল, চন্দন, কেশর, কস্তুরী যোগ করা হয়। স্নান পর্ব শেষে দেবতাকে ‘সাদা বেস’ পরানো হয়। বিকেলে, ভগবান জগন্নাথ, দেবী সুভদ্রা ও ভগবান বলভদ্রের মূর্তিগুলিকে আবার ‘হাঠি বেশ’ অর্থাৎ প্রভু গণেশের পোশাক দেওয়া হয়।