ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল আগেই। নব জোয়ার সভা থেকেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। গতকাল, মঙ্গলবার সকালে সেই মর্মেই জেলায় জেলায় বার্তা পাঠিয়েছিল দলীয় নেতৃত্ব। ফের একবার স্পষ্ট বার্তা দিয়ে ‘নির্দল’ প্রার্থী তৃণমূলীদের সতর্ক করে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতৃত্বের।
বিক্ষুব্ধ তৃণমূলিদের জন্য আরও কঠোর ব্যবস্থার ইঙ্গিত স্পষ্ট করে দিল দল।তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বলা হয়, দলীয় টিকিট না পেয়ে যারা নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন, তারা আজ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল।
প্রয়োজনে বহিষ্কার করা হবে দল থেকে৷ এই মর্মে ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বদের জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর রাত হতেই একাধিক জায়গা থেকে টিকিট না পেয়ে ভোটে লড়া ব্যক্তি, নির্দল হিসাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস।
জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান (Khalilur Rahman) জানিয়েছেন, জয়ন্তী মূর্মূ, জেলা পরিষদে দাঁড়িয়েছিলেন। শ্যামল মান্ডি, জয়ন্তীর স্বামী, জেলা কমিটির সদস্য। জিতু দাস, প্রাক্তন প্রধান, টিকিট না পেয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে দাঁড়িয়ে যায় কংগ্রেসের হয়ে। এক্রামুল হক, তিনি তাঁর স্ত্রীকে নির্দল হিসাবে পঞ্চায়েত সমিতিতে দাঁড় করান। ইনিও দলের শ্রমিক সংগঠনের পদে আছেন।
পঞ্চায়েত ভোটের ইনচার্জ হিসাবে থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajeev Banerjee) জানিয়েছেন, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলা মিলিয়ে প্রায় ১১৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। তাদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান, নির্দলের সংখ্যা ১২০ থেকে ১২৫ জন কিন্তু অনেকেই জেলা নেতৃত্বকে বলছেন এখন তারা তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন।
তমলুক সাংগঠনিক জেলায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৬৬টি জেলা পরিষদের আসন। ৭৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। আজ ১১ জন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে ‘নির্দল কাঁটা’ রয়ে গিয়েছে।