Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
জাতীয়

৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় যমুনার জল

Yamuna water level : ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় যমুনার জল - West Bengal News 24

৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় বইছে যমুনা নদীর ‍জল। নদীর তীর উপচে আশেপাশের অঞ্চলগুলি প্লাবিত হয়েছে। এমনকি বন্যার জল পৌঁছে গেছে নর্থ দিল্লিতে। সেখানে সড়কগুলো জলের নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। বুধবার সন্ধ্যায় এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৫ বছর আগে ২০৭.৪৯ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রেকর্ড করার এখন নদীটি ২০৭.৫৫ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নর্থ দিল্লিতে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আউটার রিং রোড রাজধানী দিল্লিকে ঘিরে আছে এবং এটি নগরীতে প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।

দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে টুইটারে এক বিবৃতিতে সতর্কতা জারি করে জনগণকে মোনাস্ট্রি এবং আইএসবিটি, কাশ্মীর গেটের মাঝের রিং রোড এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় যমুনার জল পুরনো রেলওয়ে সেতুর ২০৭.৩৮ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিলো। এটি ২০১৩ সালের জলস্তরের ৩০৭.৩২ মিটার থেকে বেশি। সে সময়ে রাজধানী দিল্লিতে বন্যা দেখেছিল। ১৯৭৮ সালে যমুনা ২০৭.৪৯ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছিলো, সেই রেকর্ড বুধবার ভেঙ্গে গেছে বলে জানিয়েছে দিল্লি কর্তৃপক্ষ।

সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের কর্মকর্তারা পূর্বাভাস দিয়ে বলেছেন, যমুনা নদীর জলের স্তর আরও বাড়তে পারে, যা দিনের শেষভাগে ২০৭.৫৭ মিটারে পৌঁছতে পারে। ক্রমাগত জল বাড়তে থাকলে পুরনো দিল্লি এলাকায় বন্যা সতর্কতা জারি করা হতে পারে।

এর আগে সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যমুনা তীরের কাছে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের জনগণের জান-মালের সুরক্ষা করতেই হবে। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হরিয়ানার হাতিনিকুণ্ড ব্যারেজ দিয়ে আর জল না ছাড়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে টানা ভারি বৃষ্টিতে প্রায় পুরো উত্তর ভারতের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোতে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ কাজ জোরদার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী। এ অঞ্চলের অনেকগুলো নদীর জল বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। এসব নদীর তীরবর্তী নগর ও ছোট শহরগুলোর রাস্তা ও ভবনগুলো হাঁটু সমান জলে তলিয়ে আছে।

বৃষ্টিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিমাচল। অবিরাম বৃষ্টির কারণে হড়কা বান ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। এতে ঘরবাড়ি, সম্পত্তি ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি ইতিমধ্যে কয়েকশত কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে। বন্যায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button