বেঙ্গালুুরু বৈঠকের আগের দিনই মমতা-সনিয়া সৌজন্য সাক্ষাৎ ৷ বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠকের আগে নৈশভোজে যোগ দিতে ব্যাঙ্গালুরু গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ সোমবার বিকেলে সেই আগমনের সূত্র ধরেই মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হল সনিয়া গান্ধির৷ ২০২১ সালের জুলাই মাসের পর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ফের মুখোমুখি হলেন সনিয়া-মমতা৷
এদিন মমতাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সনিয়া গান্ধি৷ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ভিতরে নিয়ে যান কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও সঙ্গে ছিলেন ডি কে শিবকুমার (DK Shivakumar)৷ উল্লেখ্য, যে কর্মসূচি রয়েছে, তাতে সোমবার বেঙ্গালুরুতে এই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারে যোগ দিলেও নৈশভোজে নাও থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এখানে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি ফিরে যাবেন৷ তৃণমূলের হয়ে নৈশভোজে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও ডেরেক’ও ব্রায়েন (Derek O’ Brayen)।
২০২১-এর জুলাই মাসে শেষ বার দিল্লিতে এসে মমতা (Mamata Banerjee) দশ জনপথে গিয়ে সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। রাহুল গান্ধীও ছিলেন সেই বৈঠকে। যদিও তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল, সব বিরোধীদের বৈঠকে যে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত পালন করার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের আগ্রহ দেখা যায়নি। এরপর গোয়া বা মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দুই দলের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে।
এই কর্ণাটক রাজ্যের ভোটেই, কার্যত কংগ্রেসকে সমর্থন জানানোর বক্তব্য উঠে এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব থাকলেও, জাতীয় স্তরে দুই রাজনৈতিক দল যে বিজেপি বিরোধিতায় সরব হবে তা বুঝিয়ে দিয়েছে উভয় পক্ষই।