পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিচার প্রক্রিয়ায় সাংবিধানিক অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কার্যত গোটা রাজ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবনে আসা হিংসার অভিযোগ রাজভবনে বসে নয়, বরং গ্রাউন্ড জিরো থেকে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন রাজ্যপাল। ভোট পরবর্তী সময়ে হিংসা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার বার্তাও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিচার প্রক্রিয়ায় সাংবিধানিক অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সিআরপিসি (CRPC) ১৯৭ নং ধারা অনুসারে যেকোনও পাবলিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অনুমোদন ছাড়া আদালতে বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তরফে এই বিষয়টি রাজভবনের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছিল অতীতে। বিচার প্রক্রিয়া যাতে কোনওভাবে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, এবার সেই কারণেই এই অনুমোদন দিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ নং ধারা অনুসারে নিজের সংবিধানিক অধিকার বলে এই অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। গত বছর ২৩ জুলাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) পক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতার করার পর থেকে শুনানি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন তিনি। কিন্তু যখন তাকে গ্রেফতার করা হয়, তিনি যেহেতু ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন তাই রাজ্যপালের এই অনুমোদন প্রয়োজন। চার্জশিট পেশ করার পরে বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সাংবিধানিকভাবে আর কোনও বাধা রইল না।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন রাজভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। ঘোষণার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই এই পদক্ষেপ রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত , অতীতেও ভারতের অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে কোওন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর বিচার প্রক্রিয়ায় রাজ্যপালের অনুমোদন দেওয়ার ঘটনা দেখা গিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজ্যের ক্যাবিনেটের সঙ্গে পরামর্শ করেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্যপালেরা। মঙ্গলবার রাজভবনের তরফে জানানো এই সিদ্ধান্ত রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাতকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।