Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
আন্তর্জাতিক

বিয়ের আগে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করছেন তাইওয়ানের নারীরা

বিয়ের আগে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করছেন তাইওয়ানের নারীরা

তাইওয়ানের হাজার হাজার নারীর মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডিম্বাণু হিমায়িত করার প্রবণতা। পরবর্তী সময়ে সন্তান ধারণ করতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণে এই বিকল্প পথে হাঁটছেন তাইওয়ানের বহু নারী। যদিও অবিবাহিত নারীদের বিয়ে না করে ডিম্বাণু ব্যবহারের অনুমতি দেয় না দেশটির সরকার।

কী বলছে সেই আইন? তাইওয়ানের বর্তমান আইন অনুযায়ী, সেই দেশের কোনও অবিবাহিত নারী চাইলে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে পারবেন। কিন্তু কোনও পুরুষকে বিয়ে না করা পর্যন্ত তারা সেই ডিম্বাণু ব্যবহার করতে পারবেন না। অবিবাহিত নারী এবং সমকামী দম্পতিদের সেই ডিম্বাণু ব্যবহার করে মা হওয়ার অনুমতি দেয় না তাইওয়ান সরকার। তাইওয়ানের প্রতিবেশী চীনে অবিবাহিত নারীদের ডিম্বাণু হিমায়িত করে রাখার অধিকারও নেই।

তাইওয়ানের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমেরিকার প্রায় ৩৮ শতাংশ নারী ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নিজেদের ডিম্বাণু সংরক্ষিত রাখেন। কিন্তু কড়া আইনের কারণে তাইওয়ানে এই সংখ্যা আট শতাংশের কাছাকাছি। অন্যদিকে, তাইওয়ানে মাত্র চার শতাংশ দম্পতির পরিবারে প্রাকৃতিক ভাবে শিশুর জন্ম হয়। আমেরিকায় সেই সংখ্যা ৪০ শতাংশের কাছাকাছি।
২০১৯ সালে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে সমকামী বিবাহকে বৈধতা দেয় তাইওয়ানের আইন। সমকামী দম্পতিদের সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকারও দেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণেই ভাল কিছু হওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন তাইওয়ানের হাজারো নারী।

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে’র ‘শিন কং উ হো-সু মেমোরিয়াল’ হাসপাতালের প্রজনন চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান লি ই-পিং জানিয়েছেন, আমাদের দেশের সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সংস্থা প্রতিনিয়ত আলোচনা করে চলেছে। হিমায়িত ডিম্বাণুর সাহায্যে সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে সরকার যেন আইনে পরিবর্তন আনে, তা নিশ্চিত করার জন্যই এই আলোচনা।

‘ন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটি’ হাসপাতালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, তাইওয়ানে ডিম্বাণু হিমায়িত করার চাহিদা বেড়েছে। গত তিন বছরে ৩৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে এই প্রবণতা ৮৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তাইওয়ানের প্রথম ডিম্বাণু ব্যাঙ্ক, ‘স্টর্ক ফার্টিলিটি ক্লিনিক’-এর প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক লাই হসিং-হুয়ার কথায় করোনা অতিমারির পর থেকে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করার প্রবণতা নারীদের মধ্যে বেড়েছে। সঠিক পরিষেবা দিতে সেই সংস্থার তরফে এক ডজনেরও বেশি নতুন কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

লাই জানিয়েছেন, তাইপেই এবং সিঞ্চুতে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখা নারীদের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। তবে তাওইওয়ানের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখার খরচের জন্য অনেক মহিলা এখনও সেই পথে এগোচ্ছেন না। দেশটির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিম্বাণু সংরক্ষণের প্রথম ধাপেই প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। এর পর সারা বছর তা জমিয়ে রাখার খরচ বাবদ আরও অনেক টাকা ব্যয় হয়।

সূত্র- এনডিটিভি

আরও পড়ুন ::

Back to top button