তৃণমূল ও কুড়মি সমাজের লোকজনের মধ্যে গোলমালের জেরে জাতীয় সড়কের বালিভাসা টোল প্লাজায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল।
শুক্রবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের দুধকুণ্ডি অঞ্চলের বালিভাসা এলাকায় ওই ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। হামলায় মাথা ফেটেছে তৃণমূলের দুধকুণ্ডি অঞ্চলের বাদিনা বুথের সভাপতি চন্দ্রশেখর মাহাতোর।
মারধরে জখম হয়েছেন টোল প্লাজার আরও দুই কর্মী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ঝাড়গ্রাম ব্লকের দুধকুণ্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ছিল। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার নির্দল কুড়মি প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হন।
প্রধান পদে লবঙ্গলতা মাহাতো ও উপপ্রধান পদে সুমিত্রা মাহাতো নির্বাচিত হওয়ার পর মহিলারা মাথায় কলসি ভরা জল এনে শোভাযাত্রা করে এসে পঞ্চায়েত কার্যালয় ধুয়ে দেন। তারপর চেয়ারে বসেন প্রধান ও উপপ্রধান। এদিন পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে সামাজিক সংগঠনের হলুদ পতাকা নিয়ে অসংখ্য কুড়মি মানুষের জমায়েত হয় সেখানে।
পরে মিছিল করে কুড়মিরা বালিভাসা টোল প্লাজায় যান। প্রসঙ্গত, টোল প্লাজাটি তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শান্তনু মাহাতো টোলপ্লাজা চত্বরে সংগঠনিক কাজকর্মের দেখভাল করেন। এদিন কুড়মিরা টোলপ্লাজায় সমাজের হলুদ পতাকা বেঁধে দেন।
খবর পেয়ে তৃণমূলের লোকজনও সেখানে পৌঁছলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, কুড়মিরা টোল প্লাজা চত্বরে ভাঙচুর ও হামলা চালিয়েছে।
কুড়মি সংগঠনের পাল্টা অভিযোগ, তাদের পতাকা তৃণমূলের লোকেরা খুলে ফেলে দেয়। হকি স্টিক দিয়ে কুড়মি সমাজের লোকজনকে মারধর করা হয়।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা স্থানীয় মানিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা তাপস মাহাতো বলেন, ‘‘কোনও অপ্রীতিকর ঘটনাকে জাতীয় কংগ্রেস সমর্থন করে না।’’