বর্ধমান

রাতের অন্ধকারে শুটআউট, গুলি লেগে জখম সিপিএম নেতা

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রাতের অন্ধকারে শুটআউট, গুলি লেগে জখম সিপিএম নেতা

রাতদুপুরে শুটআউট পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে। গুলিবিদ্ধ সিপিএম নেতা। অন্ডাল থানার সিদুলির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। তৃণমূলের প্রস্তাবিত উপপ্রধানকে সরিয়ে অন্ডালের খান্দরা পঞ্চায়েতে সিপিএমের সমর্থনে ‘নিজের’ পছন্দের তৃণমূলেরই উপপ্রধানকে বসানো হয়েছে। এই অভিযোগ ওঠে এলাকার দাপুটে সিপিএম নেতা বুদ্ধদেব সরকারের দিকে। তাঁকে লক্ষ্য করেই সোমবার রাতে গুলি চালানো হয়েছে। কাঁধে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করানো হয় তাঁকে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে যায়। শুরু হয়েছে তদন্ত।

খান্দরা পঞ্চায়েতের ৩ জন সিপিএম সদস্যদের সমর্থনে তৃণমূলের প্রস্তাবিত আশিস ভট্টাচার্যকে ভোটের মাধ্যমে হারিয়ে দিয়ে গণেশ বাদ্যকরকে উপপ্রধান করে দেওয়া হয়েছে। পরে দল গণেশকে অন্ডাল ব্লকের যুব সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়। পুরো ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন সিপিএমের দাপুটে নেতা বুদ্ধদেব সরকার, এমনই অভিযোগ। বাম আমলে আবার সরকারি চাকরিও তিনি কার্যত হাতিয়ে নিয়েছিলেন। বর্তমানে রানিগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েতের সহায়ক পদে কর্মরত বুদ্ধদেব সরকার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, খান্দরা পঞ্চায়েতে যারাই থাকুক, লাগাম নাকি থাকত বুদ্ধদেববাবুর হাতেই। এসবের জেরে তাঁর উপর রাগ ছিল বিরোধী গোষ্ঠীর। সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সিদুলিতে খান্দরা পঞ্চায়েত থেকে বাইক নিয়ে খান্দরায় নিজের বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। অন্ধকারে তাঁকে গুলি করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ৩ রাউন্ড গুলি চলে। বুদ্ধদেববাবুর বা কাঁধে একটি গুলি লাগে। স্থানীয়রাই দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে অন্ডাল থানার পুলিশ ও অন্যান্য আধিকারিকরা পৌঁছন ঘটনাস্থলে।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম জানান, “শুটআউটের ঘটনা ঘটেছে। আহতকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। কে, কারা এবং কেন গুলি করল, তা ওঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে।তদন্ত শুরু হয়েছে।” ওই বেসরকারি হাসপাতালের নির্দেশক প্রবীর চক্রবর্তী জানান, “বাঁ কাঁধে গুলি লেগেছে। ওঁর জ্ঞান আছে। দ্রুত গুলি বের করার চেষ্টা হচ্ছে।”

সুত্র: সংবাদ প্রতিদিন

আরও পড়ুন ::

Back to top button