বীরভূম

৫৭০ ভরি সোনার অলংকার থাকা সত্ত্বেও, কেষ্টর কালি সাজলো ইমিটেশনের গয়নায়, কেষ্টর কালী পুজো হল চাঁদা তুলে

৫৭০ ভরি সোনার অলংকার থাকা সত্ত্বেও, কেষ্টর কালি সাজলো ইমিটেশনের গয়নায়, কেষ্টর কালী পুজো হল চাঁদা তুলে

সোনায় মোড়া মা কালী, মাথার মুকুট থেকে কানের দুল, নাকের নথ, মানতাসা থেকে নেকলেস, মায়ের হাতের প্রতিটি আঙুলে সোনার আংটি পায়ের নুপুর সবই সোনার। এমনকি দেবীর হাতেও শোনার পদ্ম। স্থানীয়রা অনেকেই মাকে সোনার কালী নামে ডাকতে শুরু করেছিল। দু’বছর আগেও দেবীর গয়নার পরিমাণ ছিল ৫৭০ ভরি, যদিও আজ সে সব এখন অতীত।

অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে এবার বোলপুরের তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে ইমিটেশনের গয়নায় সাজিয়ে শ্যামা মায়ের আরাধনা করা হলো কেষ্টর কালির।

অন্যদিকে কেষ্টকালি নামে পরিচিত অনুব্রতর বাড়ির সামনের পুজো জাঁকজমক করে আয়োজন করল নিচুপট্টি বাড়িপুকুর সম্মিলনী। কারণ এবার এই পূজোর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা সভাপতি কাজল শেখ।

গত বছর ১১ আগস্ট গরু পাচার মামলায় সিবিআই এর হাতে গ্রেপ্তার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ওই ঘটনার আগে পর্যন্ত প্রত্যেক বছর যার জমক করে শ্যামা পূজার আয়োজন হতো বোলপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে। সোনার গয়নায় ঢেকে দেওয়া হতো কালী প্রতিমাকে। ২০২০ সালের মা কালীকে ৩৫০ ভরি সোনা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭০ ভরিতে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে।

এবছর আর্থিক অবস্থার অবনতির পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক ঘাসফুল শিবির। তাই সাংসদ বিধায়ক সহ দলীয় কর্মীদের থেকে চাঁদা তুলে ঘরোয়া ভাবে হলো কেষ্টর কালীপুজো। গত দু বছর আগেও এই কালীপুজোর দিনে পাঁঠার মাংস সহ মহাপ্রসাদ গ্রহণ করতেন বোলপুর সহ আশপাশের কয়েক হাজার হাজার মানুষ।

এখন দিনক্ষণ ও পরিস্থিতি বদলে গেছে, তাই যতটুকু না করলে নয় তা দিয়েই মা কালীকে সন্তুষ্ট করা হয়েছে। এবার মহাপ্রসাদের আয়োজন করা হলেও অতিথির সংখ্যা ছিল হাতে গোনা নামমাত্র।

বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে বা শ্যামা পূজার আয়োজন করা হয়েছে। যদিও ইমিটেশনের গয়না নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি। তবে শোনা যাচ্ছে ৫৭০ ভরির বদলে এবার ৭০ ভরির মতো গয়না পরানো হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button