বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ‘উদার’ বলে সম্বোধন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ”বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী শিল্প ভাগিয়েছেন গুজরাটে।” সিঙ্গুর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ একদা তৃণমূলী শুভেন্দুর।
সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে সোমবার শুভেন্দু যা বললেন , তা বুঝিয়ে দিল আগামী লোকসভা ভোটের আগে সিঙ্গুর আন্দোলনকে হাতিয়ার করবেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন , “আমি তখন বিরোধিতা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু চকোলেট, স্যান্ডউইচ খাওয়া আন্দোলনে আমি যাইনি। একমাত্র আমিই যাইনি। প্রতিদিন ডাকত। আমি ডেকরেটর্সের টাকা মিটিয়ে চলে এসেছিলাম।”
তবে বুদ্ধ বাবুর প্রসঙ্গ আসায় চুপচাপ বসে থাকেনি সিপিএম। বর্ষীয়ান বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর মাঝেমধ্যে ভাবের উদয় হয় কি না জানি না। ভূতের মুখে রাম নাম তো। তখন তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত যাঁরা ছিলেন, তখনকার ভাইপো শুভেন্দু অধিকারীও তো ছিলেন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করায় পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
তৃণমূল নেতা তথা বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় এদিন বলেন , “বিজেপিতে যোগদানের পর ও নিজে বলেছিল ওর ২০১০ সাল থেকে আরএসএসের সঙ্গে বা বিজেপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এখন দেখছি বুদ্ধ বাবুর প্রতি ওর ভাব ভালবাসা। তাহলে সেই সময় ও যেটা করেছিল কোনটা সঠিক, কোনটা অভিনয় ? সিঙ্গুরের আন্দোলনে যা করেছিল তা সঠিক নাকি অভিনয়? একটা মানুষের যে ইন্টিগ্রিটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বললে সেটা তো ক্ষুণ্ণ হয়।”
পঞ্চায়েত ভোটের পর বিভিন্ন সময় বামেদের নিচুতলার কর্মীদের বিজেপির হাত শক্ত করার বার্তা দিয়েছে বিজেপি। বামেদের সঙ্গে মতাদর্শগত বিরোধ থাকলেও এর আগে একাধিকবার বাম নেতাদের একাংশের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। তাই তো এবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গুণগান পেয়ে লোকসভা ভোটের আগে বামফ্রন্টের কাছে নিজের গুড ইমেজটাই তুলে ধরার চেষ্টা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
