দলীয় সতীর্থ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ, বিশেষত ভুবনেশ্বরে থাকাকালীন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসার বিল কে মিটিয়েছিল সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুনাল ঘোষ। এমনকি তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করারও দাবি তুলেছেন। বারবার দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলা – দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলীয় সূত্রে খবর, শোকজ করা হতে পারে কুণাল ঘোষকে। কেন তিনি দলের অভ্যন্তরে না বলে এভাবে প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন? এই প্রশ্নও কুণাল ঘোষকে করা হতে পারে বলে খবর। এদিন তাঁর কাছে যেতে পারে শো-কজ লেটার। তৃণমূল মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, শুধুমাত্র মুখপাত্র পদে কুণাল ঘোষের ইস্তফা গ্রহণ করেছে তৃণমূল। সাধারণ সম্পাদকের পদে ইস্তফা গ্রহণ করা হয়নি বলেই শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, যত দিন গড়াচ্ছে ততই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুণালের সংঘাত বেড়েই চলেছে। শনিবার সন্ধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে কুণাল ঘোষ স্পষ্টত লেখেন , “আমি তৃণমূলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। খবর পেয়েছি, শুধু মুখপাত্র থেকে ইস্তফার অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। দলের কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ, সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও ইস্তফাটি গ্রহণ করা হোক। আমি ওই পদে থাকব না। আমি শুধু কর্মী হিসেবে থাকব।”
অন্যদিকে শনিবারই আবার তৃণমূলের ব্রিগেড সফল করতে উত্তর কলকাতাতেই মিছিল করতে দেখা যায় কুণালকে। তিনি আবার লোকসভায় প্রার্থী হিসাবে কোন মহিলাকে চাইছেন বলেও খবর।
