খেলা

ভারতীয় ক্রিকেটারের এই লাভ স্টোরি সিনেমাকেও যেন হার মানায়

ভারতীয় ক্রিকেটারের এই লাভ স্টোরি সিনেমাকেও যেন হার মানায়

ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল এবং সাহসী অধিনায়ক হিসেবে পরিচিত সৌরভ গাঙ্গুলী। চন্ডীদাস গাঙ্গুলী আর নিরুপমা গাঙ্গুলীর দ্বিতীয় সন্তান সৌরভ ১৯৭৫ সালের ০৮জুলাই কলকাতায় জন্মেছিলেন। ১৯৯২ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়েসে ভারতীয় দলের অভিষেক হয় মহারাজের। এরপর তিনি দল থেকে বাদ পড়েন। ফের ১৯৯৬ সালে ভারতীয় দলে ফেরন এবং ইংল্যাণ্ড সফরে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ওই সফরে সৌরভের প্রদর্শনে সকলেই তার ফ্যান হয়ে যান। কিন্তু ইংল্যান্ড সফর থেকে ফেরার পরই তাকে নিয়ে একটি বিতর্কের জন্ম হয়। নিজের প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে যান তিনি।

ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পরই সৌরভ তার প্রতিবেশী এবং দীর্ঘদিনের বান্ধবী ডোনাকে রায়কে নিয়ে পালিয়ে যান। ডোনা সৌরভের পাশের বাড়িতেই থাকতেন এবং দুজনের মধ্যে প্রেম সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সৌরভের পরিবারের সঙ্গে ডোনার পরিবারের বনিবনা ছিল না যার ফলে তাদের সম্পর্ককে তাদের দুই পরিবার মানতে চায়নি। ২৩ বছরের তরুণ সৌরভ নিজের জেদ ধরেন এবং ডোনাকে নিজের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন, এবং শেষমেশ তারা পালিয়েও জান। স্কুলে পড়াকালীনই সৌরভ আর ডোনার মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

ভারতীয় ক্রিকেটারের এই লাভ স্টোরি সিনেমাকেও যেন হার মানায়

সৌরভ আর ডোনা দুজনেই আলাদা আলাদা স্কুলে পড়তেন, কিন্তু সৌরভ ডোনাকে একবার দেখার জন্য তার স্কুলের সামনে প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকতেন। সৌরভ এবং ডোনার পরিবার একসময় বিজনেস পার্টনার ছিল, কিন্তু বিজনেসে লোকসান হওয়ার কারণে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দেয়। এটাই কারণে ছিল যে এই দুই পরিবারের কেউই একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তাও বলতেন না। কিন্তু এই দুই পরিবারের গল্পে তখনই সিনেমার মত বাঁক আসে যখন এই দুই যুগলের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সৌরভ ডোণাকে নিয়ে পালানোর আগে একসময়কার বাংলা দলের জনপ্রিয় ক্রিকেটার মলয় মুখার্জির সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। দাদা যখন তাকে নিজের পুরো পরিকল্পনার কথা বলেন তো মলয়বাবু সম্পূর্ণ চমকে ওঠেন। মলয়বাবু সৌরভের সিনিয়র এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বাড়ি থেকে পালানোর পর সৌরভ ডোনার সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু এই কথা মিডিয়ায় লীক হয়ে যায় যে কারণে তারা দ্রুত সেই পরিকল্পনা বাতিল করেন। পরে তারা মিডিয়াকে লুকিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করেন।

ভারতীয় ক্রিকেটারের এই লাভ স্টোরি সিনেমাকেও যেন হার মানায়

যখন এই বিয়ের খবর সৌরভের বাড়ির লোক জানতে পারে তো তারা পরিস্কার জানিয়ে দেন যে তারা কোনো অব্রাহ্মণ মেয়েকে নিজের বাড়ির বৌ হিসেবে মেনে নেবেন না। সৌরভ ডোনার বিয়ে দেওয়া ম্যারেজ রেজিস্টারের বক্তব্য অনুযায়ী বিয়ের পর এই যুগলকে খুশি দেখাচ্ছিল কিন্তু সৌরভ নিজের পরিবারের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে ভেবে ভয় পাচ্ছিলেন। কিন্তু পরে ভালবাসারই জয় হয় এবং গাঙ্গুলী পরিবার ডোনাকে তাদের পুত্রবধু হিসেবে মেনে নেয়। এর কিছুদিন পরেই দুই পরিবারের সহমতিতে একটি অফিসিয়াল বিয়ের আয়োজন করা হয়, আর ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ সালে এই দুজনের বাঙালী রীতি মেনে বিয়ে হয়। ডোনার জন্য আজও সৌরভ প্রতিবেশী এবং তার বেস্টফ্রেন্ড যাকে তিনি ভালবেসেছিলেন। তিনি বলেন যে তার একজন ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম হয়েছিল না কি কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button