জীবন যাত্রা

যে ১১টি জিনিস এখনই ত্যাগ করা উচিত

যে ১১টি জিনিস এখনই ত্যাগ করা উচিত

জীবনের বহু ঘটনা স্ট্রেস এবং দুঃখ আনে। গুটিকয়েক জিনিস তৎক্ষণাৎ ত্যাগ করতে পারলে জীবনটা অনেক সহজ ও হালকা হয়ে যাবে। এখানে জেনে নিন এমনই ১১টি বিষয় যা এখনই ত্যাগ করা উচিত।

১. পরিবর্তনকে মেনে নেওয়া আমাদের জীবনের অতি জরুরি বিষয়। পরিবর্তনের মাধ্যমেই জীবন গতিশীলতা পায়। অনেক ক্ষেত্রেই রক্ষণশীলতা ভালো। কিন্তু সবকিছুতে রক্ষণশীল থাকা আপনাকে এক জায়গায় স্থির করে দেবে।

২. অনেকেই ভাবেন জীবনের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এটা পুরোপুরি ভুল ধারণা। আপনি অন্য মানুষকে বদলাতে পারবেন না। কারো দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারবেন না। অন্যে বিশ্বাস ভিন্ন করে দিতে পারবেন না। তাই এ চেষ্টা বাদ দিন।

৩. কাজে ব্যর্থতা মেনে নেওয়া ভালো। এ থেকে শিক্ষা নিতে হয়। কিন্তু অজুহাত বানানোতে হিতে বিপরীত ঘটে। এতে মানসিক শক্তির ক্ষয় ঘটে।

৪. অন্য মানুষকে দোষারোপ করবেন না। নিজের জীবনের জন্যে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাবেন না। আপনার জীবনের যাবতীয় ঘটনার দায়-দায়িত্ব একান্ত আপনার। তাই দোষারোপের অভ্যাস এখনই ত্যাগ করুন।

৫. ক্রমাগত অভিযোগ করে যাওয়া সময় অপচয়ের আরেকটি উপায়। আপনি অভিযোগ করছেন মানেই হলো যে বিষয়গুলো পছন্দ করেন না তাতে মন দেওয়া। এমন বহু বিষয় চারদিকে রয়েছে। যদি কেবলমাত্র সেগুলো খুঁজতে থাকেন তবে অভিযোগের পাল্লা ভারী হতেই থাকবে।

৬. গঠনমূলক সমালোচনা ভালো। কিন্তু অন্যকে ছোট করার জন্যে সমালোচনা মনের সুখ নষ্ট করে। যদি অন্যের দোষ ধরা আপনার অভ্যাসের মধ্যে পড়ে, তবে তা আজই ত্যাগ করুন।

৭. মাথার মধ্যে সব সময় নেতিবাচক চিন্তা নিয়ে সময় কাটাবেন না। এতে মনে অস্বস্তি কাজ করতে থাকবে। বরং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর চেষ্টা করুন।

৮. মানুষের ভুল হবেই। তাই সব কাজ সঠিকভাবে না করতে পারলে মনে খেদ রাখার দরকার নেই। মনের মতো করে সব কাজ করতে পারবেন না। নিখুঁতভাবে কাজ করার প্রবণতা সম্পর্ক ও পেশাজীবনকে নানা সমস্যা বয়ে আনে।

৯. অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিজেই বিচারকের আসনে বসে যাবেন না। কারো ধর্ম, চিন্তাধারা, বিশ্বাস ইত্যাদি আপনার সঙ্গে নাও মিলতে পারে। তার মানে এই নয় যে, আপনিই পুরোপুরি সঠিক। আবার অন্যের চিন্তায় যুক্তিবোধের অভাব থাকলেও তা নিয়ে কটূক্তি করার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

১০. অতীত মানুষকে শিক্ষা দেয়, অভিজ্ঞ করে তোলে। কিন্তু স্বর্ণালী অতীতের চিন্তায় সব সময় বিভোর হয়ে থাকবেন না। এটা সময় অপচয়ের বড় মাধ্যম। নেতিবাচক বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে আপনারই ক্ষতি। বর্তমান নিয়ে ব্যস্ত থাকুন।

১১. জীবনটাকে অন্যের জন্যে বয়ে নিয়ে বেড়াবেন না। নিজের জন্যে সময় দিন। জীবনকে উপভোগ করুন। অনেকেই অন্যকে খুশি করতেই সময় ব্যয় করেন। কিন্তু আপনার ভেতরটা তুষ্ট না থাকলে বেঁচে থাকাটা অর্থহীন হয়ে পড়বে। তাই নিজের জন্যে বাঁচুন।

সূত্র : হাফিংটন পোস্ট

আরও পড়ুন ::

Back to top button