ঝাড়গ্রাম

মাস্কের সঙ্কট মেটাতে উদ্যোগী ওষুধ ব্যবসায়ী

মাস্কের সঙ্কট মেটাতে উদ্যোগী ওষুধ ব্যবসায়ী

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: সরকারি নির্দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাজারে মিলছে না উপযুক্ত মাস্ক। মাস্কের অভাব মেটাতে উদ্যোগী হলেন ঝাড়গ্রাম শহরের তরুণ ওষুধ ব্যবসায়ী সায়ন্তন রায়।

স্থানীয় এক টেলারিং দোকানের কর্ত্রীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সুতির কাপড়ের মাস্ক তৈরি হচ্ছে। সেই মাস্ক ৫০ টাকা প্রতি পিস দামে বিক্রি করছেন ওই ওষুধ ব্যবসায়ী। সায়ন্তন জানালেন, মাস খানেক আগে খান দশেক এন-৯৫ মাস্ক তিনি পেয়েছিলেন। ন্যায্য দামে সেগুলি মুহূর্তেই বিক্রি হয়ে যায়। এর পরে প্রতিদিনই খদ্দেররা আসছেন মাস্কের খোঁজে।

সায়ন্তন বলেন, ‘‘বাজারে সিন্থেটিক কাপড়ের মাস্ক পরে অনেকের অ্যালার্জি হচ্ছে। এ রকম বহু মানুষ প্রতিদিন মাস্কের জন্য দোকানে আসছেন। রোজ এভাবে অসহায় মানুষগুলিকে ফিরিয়ে দিতে খারাপ লাগছিল।’’ সায়ন্তনের দোকানেই কাছে তনুশ্রী টেলার্স দোকানটি চালান নিলীমা সরকার। লকডাউনে তাঁর দোকান বন্ধ। তাঁকে কাপড়ের সুতির মাস্ক তৈরির প্রস্তাব দেন সায়ন্তন।

নীলিমাদেবী বলেন, ‘‘দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলাম। এখন বাড়িতে বসেই প্রতিদিন মাস্ক বানিয়ে সায়ন্তনকে দিচ্ছি। লকডাউনে কিছু আয়ও হচ্ছে।’’ তবে মাস্কের বিপুল চাহিদা থাকায় সায়ন্তন একসঙ্গে বেশি মাস্ক দিতে পারছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘সাধ্যমতো যেটুকু নীলিমাদি তৈরি করে দিচ্ছেন, সেগুলি কার্যত লাভ না-রেখেই জনস্বার্থে বিক্রি করছি।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button