বিনোদন

বিমানবন্দরে বলিউড তারকাদের যার যেমন আচরণ

বিমানবন্দরে বলিউড তারকাদের যার যেমন আচরণ

ভাবুন আমির খান আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। কেমন অনুভব হবে আপনার? বলিউড তারকাদের কাছ থেকে দেখতে চান? তাহলে মুম্বাইয়ের বিমানবন্দরে চলে যান। এক্ষেত্রে মুম্বাইয়ের ছাত্রাপাতি শিভাজি ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর বেশ বিখ্যাত। সেখানেই দেখা মেলে তারকাদের। কারণ, শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে প্রায়ই তো মুম্বাই বিমান থেকে এদিক ওদিক যেতে হয়। আর এত এত তারকা, কারও না কারও তো প্রতিদিন বিমানে উঠতেই হয় মুম্বাই থেকে। আর তখন এক এক তারকার এক এক রকম আচরণ দেখতে পাবেন। সেখানেও তারকারা থাকেন ভীষণ সচেতন। কারণ, পাপারাৎজিরা ঠিকই লুফে নেন বিশেষ কোন মুহুর্ত। তারকারা তাদের ‘এয়ারপোর্ট লুক’ নিয়ে থাকেন ভীষণ চিন্তিত। কারণ কখনো কোন পোষাকের ছবি তোলা হয়, আর তা মুহুর্তেই ভাইরাল। কখনো বিমান বন্দরে তারকাদের হতে হয় হয়রানির শিকারও।

তাঁদের আচরণ:
রণবীর সিং যেমন সবার সঙ্গে মিশে যেতে পারেন খুব। সেলফির আবদার মেটাতে ক্লান্ত হন না তিনি। এমনকি যদি কাউকে দেখেন সেলফি তুলতে ইতস্তত করছেন, নিজেই এগিয়ে যান রণবীর। একটু পাগলই বটে তিনি। তবে তার স্ত্রী দীপিকার এই পাগলামি নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। তিনিও আস্তে আস্তে রণবীর এমন স্বভাব নাকি রপ্ত করছেন।

কাজল ও অজয় দেবগান নাকি এখনো হাত ধরেই বিমানবন্দরে ঢুকেন। তবে কাজল ও অজয় কখনোই তেমন পাত্তা দেয় না সাধারণদের। কেউ জোর করে আসলে না হয় একটু সেলিফিতে অংশ নেন। তেমন স্বভাব আছেন রনবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটেরও। আলিয়া একটা সময় হাসি মুখে তাকালেও রনবীরের গার্লফ্রেন্ড হয়ে যাওয়ার পর নাকি মুডি হয়ে গেছেন। আর রনবীরের মুডি চেহারা নিয়ে তো নতুন কিছু বলার নেই। কারিনা কাপুর ও সাইফ আলী খানও বেশ অন্তরঙ্গ হয়ে চলেন। তবে বিমানবন্দরে তাদের ব্যবহার নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। নানা সময়ে তারা সাধারনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সবচেয়ে পরিশীলিত ব্যক্তিত্বের নাকি অক্ষয়কুমার। ট্রাউজ়ার্সের একটা পা খানিক গুটিয়ে নিজস্ব স্টাইলে বিমানবন্দরে দেখা যায়, সকলের শ্রদ্ধা গ্রহণ করেন। ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে পোজ় দেন। বিমানবন্দর কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর ব্যবহার শিক্ষণীয়। এমনকি অক্ষয় নিজের লাগেজ কাউকে বইতেও দেন না।

আমির খানও নাকি সকলের সঙ্গে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করেন। ছেলে আজ়াদকে নিয়ে তিনি নিয়মিত ভ্রমন করেন। সে সময় ছেলের সঙ্গে খুঁনসুটি করতেও দেখা যায় তাকে। স্ত্রী কিরণ সঙ্গে থাকলেও স্বাভাবিক আচরনই সবার সঙ্গে করেন।

ভীষণ পাহারায়:
শাহরুখ খান ও সালমান খানের রয়েছে নিজস্ব টিম। কোথাও গেলে বডিগার্ডসহ তাদের সঙ্গে রাখেন। তবে সেক্ষেত্রে শাহরুখ কখনো কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন তেমন শোনা যায়নি। সেলফি, অটোগ্রাফের আবদার এলে তিনি নিরাশ করেন না। সালমান আবার তার মুড অনুযায়ী। কখনো কিনা বাচ্চার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। কখনো কিংবা রেগে তেড়ে যান।

বচ্চন পরিবারের আচরণ:
অমিতাভ বচ্চনের জনপ্রিয়তার তো কোন হিসেব নেই। তিনি এখনো বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা। অমিতাভ বচ্চনকে দেখার জন্য এয়ারপোর্টে উৎসাহীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয়। অমিতাভের ব্যবহারও খুব অমায়িক। স্ত্রী সঙ্গে থাকলে নিজেই ভিড় সামলান। অভিষেক- ঐশ্বরিয়া নিজেদের মধ্যে টুকটাক কথাবার্তা বলেন। বউ শ্বাশুড়ি একসঙ্গে চললে মনে হয় না যে খুব সখ্যতা চলছে। যে যার মত দ্রুত স্থান করতে চেষ্টা চালায়।

আছে নিজস্ব জেট বিমান:
বলিউড তারকাদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের কথা অনেকেরই জানা। বলিউডে এমন অনেকেই আছেন যারা কিনা বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকাতেও নাম লিখিয়েছেন। অনেকেরই আছে ব্যক্তিগত জেট বিমান। এর মধ্যে অক্ষয় কুমার, অমিতাভ বচ্চন, প্রিয়াংকা চোপড়া, শাহরুখ খান, শিল্পা শেঠী, মাধুরি দীক্ষিত, সালমান খান, সানী দেওলসহ আরও অনেকেরই জেট বিমান আছে। সময় সুযোগ হলে বিমান নিয়ে তারা বেরিয়ে পড়েন।

বিমান বন্দরে হয়রানির শিকারও হতে হয় তারকাদের:

সর্বশেষ ২০১২ সালে বলিউড তারকা শাহরুখ খানকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছিলো। বিমান বন্দরে তিনি কাস্টমস ও অভিবাসন কর্মকর্তাদের হাতে আটক হন। এ সময় প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়।

এর আগেও নিউইয়র্কের একটি বিমান বন্দরে ২০০৯ সালে শাহরুখ খানকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ভারতীয় দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তিনি ছাড়া পান। পরে জানা যায়, মুসলিম নামের কারণেই তাকে আটকানো হয়।

অনেক নায়িকারাও বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন। কখনো এই হয়রানি কারণে হয়েছে, কখনো হয়েছে একদমই বিনা কারণে। যেমন আপনি জানেন কি, অবৈধ ঘড়ি আনার অপরাধে আনুশকা শর্মাকে আটকে দিয়েছিল নিজের দেশেরই কাস্টম অফিসারেরা? ৩৫ লাখ রুপি মূল্যের দুটি ডি`ওর ঘড়ি অবৈধভাবে আনায় এই অভিনেত্রীকেও শাস্তি পেতে হয়। এছাড়াও রিচা চাড্ডাকে দিল্লি বিমান বন্দরের কাস্টম বিভাগ তাকে আটকে দেয়। মাত্র আয়ুর্বেদিক প্রসাধনীর কারণে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

বিপাশা বসু লন্ডন থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে ফেরার পথে ছাত্রাপাতি শিভাজি ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই জিজ্ঞাসাবাদের অন্যতম কারণ ছিল এই অভিনেত্রীর ব্যাগ। অতিরিক্ত বোঝাই ব্যাগের কারণেই এই অভিনেত্রী তার নিজের দেশের বিমানবন্দরে আটকা পড়েছিলেন। সেদিন তাকে নাকি ১২০০ রুপি জরিমানাও করা হয়েছিল।

বিমান বন্দরে জরিমানা দিতে হয়েছে শিল্পা শেঠী , প্রীতি জিনতাদেরও।

আরও পড়ুন ::

Back to top button