পায়ে ক্ষত নিয়ে ঝাড়গ্রাম শহরের দোকানে খাবার খোঁজে কালু
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: পায়ে ক্ষত নিয়ে দোকানে-দোকানে ঘুরে খাবার চায় কালু! ঝাড়গ্রাম শহরের এই অসুস্থ রুগ্ন ষাঁড়টির শুশ্রূষা প্রয়োজন। হয়তো শহরের প্রাণিপ্রেমিদের নজর পড়েনি কালুর পায়ের দিকে। শনিবার দুপুরে শহরের একের পর এক খাবারের দোকানে খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে এসে খাবার চাইছিল কালু। কেউ খাবার দিলেন। কেউ আবার জল ছিটিয়ে তাড়িয়ে দিলেন। ঝাড়গ্রাম শহরের রাস্তায় এভাবেই সারা দিন ঘুরে বেড়ায় কালুর মতো গরুর দলও। শহরের খাটাল মালিকেরা গরুগুলিকে শহরের রাস্তায় চরে বেড়ানোর জন্য ছেড়ে দেন। গাড়ির ধাক্কায় এর আগে দু’টি গরু গুরুতর জখম হয়েছিল। গত এক বছরে কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে দু’টি ষাঁড় ক্ষেপে গিয়ে শহরের কয়েকজনকে গুঁতিয়ে জখম করেছিল। পরে ষাঁড় দু’টির মৃত্যু হয়।
কালুর পিছনের ডানদিকের পায়ের ক্ষুরে দগদগে ঘা হয়েছে। ক্ষুরটি ভেঙে গিয়েছে। হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। কীভাবে ষাঁড়টির পায়ে এভাবে ক্ষত হল তা অবশ্য কেউই বলতে পারছেন না। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, পায়ে সংক্রমণ বাড়লে শারীরিক যন্ত্রণায় আক্রমণাত্মক আচরণ করতে পারে কালু। এ ব্যাপারে প্রাণি-প্রেমিরা এগিয়ে আসুক, এমনই চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কালুর মতো আরও কয়েকটি ষাঁড় শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। লকডাউনে অনেকে পথ-কুকুরদের নিয়মিত খাবার দিয়েছেন। জখম কুকুরদের শুশ্রূষা করার জন্য রয়েছেন সমাজসেবীরা। ভবঘুরে কালুর মতো ষাঁড়দের জন্য প্রাণিপ্রেমিরা এগিয়ে এলে অবলা জীবের শারীরিক কষ্টলাঘব হতে পারে।