ঝাড়গ্রামে আদিবাসী উন্নয়নে রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করলেন ভারতী ঘোষ
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: রাজ্যের ‘জয় জোহার’ প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা। ষাটোর্ধ্বদের ওই পেনশন স্কীমের আওতায় আসতে পারেননি ঝাড়গ্রাম জেলার বেশিরভাগ বয়স্ক আদিবাসী। রবিবার ঝাড়গ্রামে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সহ সভাপতি ভারতী ঘোষ। এদিন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম ও জেলা বিজেপি-র সভাপতি সুখময় শতপথীকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ওই প্রাক্তন আইপিএস। ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোও।
রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করে ভারতী অভিযোগ করেন, জেলায় আদিবাসীদের হাতে জাতিগত শংসাপত্র নেই। তাই তাঁরা ‘জয় জোহার’ প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। রাজ্য সরকার আদিবাসীদের জাতিগত শংসাপত্র দিচ্ছে না। অথচ লোক দেখানো প্রকল্পটা রেখে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এবছরের গোড়ায় ‘জয় জোহার’ প্রকল্পটি চালুর ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর রাজ্যজুড়ে প্রকল্পে আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণীর বয়স্কদের অন্তর্ভুক্তির কাজ শুরু হয়। ওই প্রকল্পে উপভোক্তারা প্রতি মাসে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এক হাজার টাকা পাবেন। কিন্তু ঝাড়গ্রাম জেলায় ওই প্রকল্পটি ঠাণ্ডা ঘরে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভারতী। তাঁর আরও অভিযোগ, ঝাড়গ্রাম জেলায় আবাস যোজনা ও কৃষি পেনসন প্রকল্পে চরম দুর্নীতি হচ্ছে।
সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি লিপিতে পড়াশোনার পরিকাঠামো গত ৯ বছরেও রাজ্য সরকার করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। ট্রাইব্যাল অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলে আদিবাসী সমাজের ‘মাঝিবাবা’দের কেন রাখা হয়নি সেই প্রশ্নও তোলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের আওতায় থাকা ৯০টি ব্লকে সংবিধানের পঞ্চম তফসিল লাঘু করার দাবি তোলেন ভারতী। বিধানসভা ভোটের আগে প্রাক্তন মাওবাদীদের দিয়ে এলাকায় তৃণমূল সন্ত্রাসের অপচেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপি নেত্রীর অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, “ভারতী ঘোষ জেলার এসপি থাকাকালীন কি-কি কাণ্ড করেছিলেন সবাই জানেন। জঙ্গলমহলের মানুষ ওঁর কথা বিশ্বাস করেন না।”