নিয়ম না মানলে শাস্তি! ঝাড়গ্রামে করোনা সচেতনতায় শিক্ষকের ভূমিকায় প্রশাসক
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: তিনি যেন হেড মাস্টার! নিয়ম না মানার শাস্তি দিচ্ছেন, আবার বিপদ সম্পর্কে সচেতনও করছেন। ধরা পড়ে যাওয়া আইনভঙ্গকারীরা কান ধরে বলছেন, ‘‘আর এমন হবে না।’’ বুধবার লকডাউনের বিকেলে মাস্ক না-পরে পথে বেরোনো যুবকদের রাশভারী প্রধানশিক্ষকের মতোই সবক শেখালেন ঝাড়গ্রাম জেলা সদরের মহকুমাশাসক তথা পৌর প্রশাসক সুবর্ণ রায়।
দিনভর লকডাউন ভাল চললেও বিকেল হতেই পথে নেমেছিলেন কিছু লোকজন। কোথায় মাস্ক ছাড়াই কয়েকজন যুবক ঘেঁষাঘেঁষি করে হাঁটছিলেন। কোথাও আবার পাড়ায় বসেছিল বৈকালিক আড্ডা। কাউকে কান ধরিয়ে মাস্ক পরার মুচলেকা আদায় করে নিলেন পৌর প্রশাসক, তো কাউকে মাস্ক না-পরার জন্য ধমক দিয়ে বাড়ি পাঠালেন।
[ আরও পড়ুন : জঙ্গলমহলে লকডাউনেও বিদ্যাসাগর-স্মরণ ]
রেক রোডে এক ফুচকা বিক্রেতার ঠেলার চারপাশে ফুচকা খাওয়ার ভিড় দেখে বিরক্ত হন মহকুমাশাসক। ওই বিক্রেতাকে লকডাউন ভাঙার শাস্তি সম্পর্কে সচেতন করেন। ঠেলা নিয়ে তড়িঘড়ি বাড়ির পথ ধরেন ফুচকা বিক্রেতা। সেখানে ফুচকা খেতে আসা এক ব্যক্তি তার ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন।
বালিকাটির মুখে মাস্ক ছিল না। বালিকার মুখে মাস্ক পরিয়ে দিয়ে অভিভাবকটিকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করেন সুবর্ণবাবু। প্রশাসনিক জীবনের বাইরে সুবর্ণবাবু একজন নামি কবি। সংস্কৃতি-বলয়ে অত্যন্ত পরিচিত মুখ তিনি।
তবে প্রশাসক হিসেবেও কঠোর কর্তব্য পালনে সদা সচেষ্ট থাকেন। অনেকে বলছেন, শহরকে করোনাহীন রাখতে মহকুমাশাসকের এমন ‘হেডমাস্টার রূপ’ কাজে দিচ্ছে। মহকুমাশাসকের গাড়ি দেখলেই এখন ছুটে পালাচ্ছেন মাস্কবিহীন লোকজন!
[ আরও পড়ুন : পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি তুলে ধরতে দিল্লিতে দীর্ঘমেয়াদি বৈঠক দিলীপ ঘোষের ! ]