বিনোদন

সুশান্তের ম্যানেজার দিশার মরদেহ নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়!

সুশান্তের ম্যানেজার দিশার মরদেহ নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়!

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ান ও সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্র চেষ্টা সবসময় করে আসছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম। সোশাল মিডিয়াতেও এ নিয়ে অনেকেই লিখেছেন যে দুটো মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্র অবশ্যই আছে।

তবে এতে বরাবরই আপত্তি জানিয়েছে দিশার পরিবার। এবার সরাসরি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন দিশার বাবা সতীশ সালিয়ান।

সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক ৬ দিন আগে অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজার দিশার রহস্যজনক অবস্থায় মৃত্যু হয়। ৮ই জুন গভীর রাতে মালাডের একটি হাইরাইজের ১৪ তলা থেকে পড়ে যাওয়ার মৃত্যু হয় দিশা সালিয়ানের। আর ১৪ জুন নিজ ঘরেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সুশান্তের মরদেহ।

দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর পর তার নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। দিশার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এটা উল্লেখ রয়েছে। সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন শোরগোল।

[ আরও পড়ুন : সুশান্তের দুটো পা-ই মোচড়ানো ছিল ও আঘাতের চিহ্ন ছিল, দাবি অ্যাম্বুলেন্স চালকের সহকারির ]

মৃত্যুর পর দিশার নগ্ন দেহ উদ্ধার হয় এই তথ্যের সমর্থনে দিশার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কিছু অংশ ভাইরালও হয়েছে। এরপরই নেটিজেনদের একাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, নগ্ন দেহ উদ্ধার হওয়ার পরও কীভাবে মুম্বাই পুলিশ এটাকে আত্মহত্যা বলছে? নিশ্চয় এখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তারপর খুন!

যদিও মুম্বাই পুলিশের এক অফিসার মুম্বাই মিররকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দিশার নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়নি। তার মৃতদেহে কাপড় ছিল।

এদিকে দিশা সালিয়ানের বাবা সতীশ সালিয়ান তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সাংবাদমাধ্যমের বাক-স্বাধীনতা রয়েছে মানে এই নয় যে তারা যা খুশি তাই বলতে পারবে। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করবেন না। পুলিশ যা বলার তাই বলেছে। আমাদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখানো হয়েছে। আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিল না, ওর ধর্ষণও করা হয়নি। ওকে নগ্ন অবস্থাতেও পাওয়া যায়নি।

এমনকি ওর শরীরে কোনো অস্বাভাবিক আঘাতও নেই। মুম্বাই পুলিশের উপর আমাদের ভরসা আছে। আমার মৃত মেয়ের সম্মানহানির চেষ্টা চলছে।’

[ আরও পড়ুন : দিদিকে ‘পাক্কা শয়তান’ ভাবতেন সুশান্ত! এবার পাল্টা তির রিয়ার ]

সতীশ সালিয়ান সেন্ট্রাল মুম্বাইয়ের দাদরের বাসিন্দা। সোশাল মিডিয়ায় তার মৃত মেয়ের ‘সম্মানহানি’র জন্য যেসব পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে মালবানি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন দিশার বাবা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button