ঝাড়গ্রাম

করোনা কালে ‘স‍্যানিটাইজ’ কেক!!

করোনা কালে 'স‍্যানিটাইজ' কেক!!

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: করোনা আবহে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ। তা বলে জীবাণুমুক্ত কেক! এমনই দাবি করছেন ঝাড়গ্রাম শহরের মঙ্গলম টাওয়ার এলাকার ব্যবসায়ী সন্দীপ দাস। সন্দীপের দোকান ‘লিটল হাট’-এর কেকের বেশ নামডাক রয়েছে। নানা স্বাদের, নানা দামের কেক পাওয়া যায় সন্দীপের দোকানে।

মেলে ডিম ছাড়া নিরামিষ কেকও। কেকের টানে আগে দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসতেন। কিন্তু এখন করোনা আবহে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কমে গিয়েছে। সন্দীপ বলছিলেন, গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ টি বড় কেক বিক্রি হত। এখন সেই সংখ্যা কমে দশে ঠেকেছে। এবার খদ্দেরদের ভরসা দিতে জীবাণুমুক্ত কেক হাজির করেছেন সন্দীপ।

[ আরও পড়ুন : প্রথম নয়, নিরাপদ ও কার্যকর টিকাই আসল: যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ]

স্বভাবতই ক্রেতাদের মধ্যেও কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ জানতে চাইছেন, কেক কীভাবে জীবাণুমুক্ত করার দাবি করছেন সন্দীপ? খোলসা করে সন্দীপ জানাচ্ছেন, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেক তৈরি করা হচ্ছে। কেক প্রস্তুতকারক সংস্থাটি যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেক তৈরি করছে। তাই এমন কেক ভাইরাস মুক্ত বলে দাবি করছেন শহরের এই তরুণ ব্যবসায়ী।

করোনা কালে 'স‍্যানিটাইজ' কেক!!

সন্দীপের দোকানে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। দোকানের বাতানুকূল শো কেসে থরে থরে কেক সাজানো রয়েছে। সন্দীপ ও দোকানের দুই কর্মী সবসময় মাস্ক, গ্লাভস পরে বিক্রিবাটা করছেন। একজন করে ক্রেতারা ঢুকে জিনিসপত্র কিনে বেরিয়ে যাওয়ার পরে আর একজন ঢুকতে পারছেন।

মাস্ক না পরলে ক্রেতাদের কোনো সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে না। সন্দীপ বলেন, “নিজের ও ক্রেতাদের স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। কেক ছাড়া প্রসাধন ও অন্যান্য সামগ্রী কিনতে যারা আসছেন, তাঁদের দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে জিনিস কিনতে হচ্ছে।

[ আরও পড়ুন : করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহারের গাইডলাইন প্রকাশ হোক, আর্জি মমতার ]

সন্দীপের কথায়, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। তাই ক্রেতাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button