বিনোদন

মাদক মিশিয়ে ঘনিষ্ঠতা, কঙ্গনাকে দুবাইয়ে পাচারের চেষ্টা!

মাদক মিশিয়ে ঘনিষ্ঠতা, কঙ্গনাকে দুবাইয়ে পাচারের চেষ্টা!

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু-রহস্যে ড্রাগ ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর জড়িয়ে যাওয়ার কারণে। ঘটনার জেরে তদন্তে নেমেছে NCB। এমন সময়েই বলিউডে মাদকচক্র যোগের বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এক ভারতীয় চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘কুইন’ অভিনেত্রীর চাঞ্চল্যকর দাবি, ‘আমাকে জোর করে মাদক খাইয়েছিল এক চরিত্র অভিনেতা।’

রিপাবলিক টিভি’কে সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানিয়েছেন, মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিনেত্রী হতে চেয়ে মানালি ছেড়েছিলেন তিনি। সে সময় চণ্ডীগড়ে একটি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন কঙ্গনা। এক এজেন্সির মারফত মুম্বাই আসেন। শুরুর দিকে হোস্টেলে থাকলেও, পরবর্তীতে এক ‘আন্টি’র সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তিনি। কঙ্গনার কথায়, সে সময় বলিউডের এক ‘চরিত্র অভিনেতা’ কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। এরপর তারা তিনজন একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন মুম্বাইয়ে। তবে পরবর্তীতে ওই চরিত্রাভিনেতা কঙ্গনাকে বিভিন্ন বলিউড পার্টিতে নিয়ে যেতেন বলেও দাবি করেছেন অভিনেত্রী। সেখানে তার ‘পানীয়তে মাদক মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল’ বলেও গুরুতর অভিযোগ করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এই কারণেই আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়েছিল। যা আমি নিজের ইচ্ছায় করিনি বলেই মনে করি।’ তার আরও অভিযোগ, ‘ওই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই ওই চরিত্রাভিনেতা নিজেকে আমার স্বামী ভাবতে শুরু করেছিল। আপত্তি জানালে মারধর করত।’

আরও পড়ুন : মীরাক্কেলের বিচারকের আসন হারিয়ে পার্টি মুডে শ্রীলেখা (ভিডিও)

ওই অভিনেতা দুবাইয়ের অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন বলেও সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘আমার ভয় হতো, ও আমাকে দুবাইয়ে পাচার না করে দেয়।’ এমনকি দুবাই থেকে আসা ‘ব্যবসায়ী’দের সামনে কঙ্গনাকে বসিয়ে ওই ‘অভিনেতা বাইরে চলে যেত’ বলেও অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী। পরবর্তীতে তার প্রথম পরিচালক অনুরাগ বসুকে গোটা ঘটনা বলেছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তার কথায়, ‘অনুরাগ জানতেন। আমাকে বাঁচাতে উনি বহুবার নিজের বাড়িতে বা অফিসে থাকতে দিয়েছিলেন আমায়।’

এর আগেও বলিউডে মাদক মাফিয়া যোগ সম্পর্কে অভিযোগ করে টুইটে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘আমার তখন বয়স কম ছিল। সে সময় আমার মেন্টর, যিনি পরবর্তীকালে নির্যাতনকারী হয়ে ওঠেন, আমার পানীয়তে মদ বা মাদক মিশিয়ে দিতেন। আমাকে পুলিশের কাছেও যেতে দিতেন না। পরে আমি যখন পরিচিতি পাই এবং বলিউডের বিখ্যাত পার্টিগুলিতে যাওয়ার সুযোগ পাই, তখন মাদক, লাম্পট্য এবং মাফিয়ার দুনিয়ার সম্পর্কে জানতে পারি।’

প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যে মাদক লিংক সামনে আসায় তদন্ত শুরু করেছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। একই সঙ্গে মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে বলিউডের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন NCB-র DG।

সুত্র : দেশ রূপান্তর

আরও পড়ুন ::

Back to top button