ঝাড়গ্রাম

বেহাল কাঁচা রাস্তায় ধানগাছ পুঁতে প্রতিবাদ

বেহাল কাঁচা রাস্তায় ধানগাছ পুঁতে প্রতিবাদ

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: দীর্ঘদিন মাটির কাঁচা রাস্তায় মোরাম পড়েনি। সংস্কারের অভাবে বেহাল রাস্তায় কিছুদিন আগে লাঙল চালিয়ে ধানগাছ পুঁতে দিয়েছিলেন এলাকাবাসী। বেলপাহাড়ি ব্লকের বাঁশপাহাড়ি পঞ্চায়েতের কাশমাড় গ্রামের রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত-প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও রাস্তাটি কংক্রিটের করা হয়নি।

শাসকদলকেও। যদিও তৃণমূলের দাবি, বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় রয়েছে আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চের ক্ষমতাসীন বাঁশপাহাড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান পার্বতী মুড়া বলেন, ‘‘সাড়ে ৪ কিমি দীর্ঘ রাস্তাটি ঢালাই অথবা পাকা করার কাজ পঞ্চায়েতের সীমিত সাধ্যের মধ্যে করা সম্ভব নয়।

বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’’ তবে তিনিবমানছেন, বেহাল রাস্তাটির জন্য কাশমাড়, দেশমূল, খেড়িয়ারাতার মতো কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। বর্ষায় কাঁচা রাস্তাটির অবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানের আশ্বাস, সাড়ে চার কিমি রাস্তার মধ্যে ৪৪০ মিটার যে অংশটি খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে সেই অংশটুকু পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ঢালাই রাস্তা করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে আটকে পড়া দেড় শতাধিক মানুষ উদ্ধার

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খেড়িয়ারাতা থেকে কাশমাড় হয়ে চাকাডোবা যাওয়ার সাড়ে চার কিমি কাঁচা রাস্তাটিতে বহু বছর আগে মোরাম পড়েছিল। তারপরে রাস্তায় আর মোরাম পড়েনি। খন্দপথের ওই রাস্তা উজিয়ে খেড়িয়ারাতা, বিদরি, দেশমূল, কাশমাড় গ্রামের বাসিন্দাদের নিকটবর্তী চাকাডোবার হাটে যেতে হয়।

ওই গ্রামগুলির বাসিন্দারা রেশন নিতেও চাকাডোবায় যান। কারণ রেশন দোকান রয়েছে চাকাডোবায়। এলাকার সিংহভাগ বাসিন্দা আদিবাসী সম্প্রদায়ের। বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়টিও রয়েছে চাকাডোবা গ্রামে। তাই নিত্য যন্ত্রণা পথের অবসান চাইছেন এলাকাবাসী।

তাঁদের দাবি, পুরো রাস্তাটি পিচের অথরা ঢালাইয়ের রাস্তা করা হোক। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পঞ্চায়েতের ভবন সংস্কার ও অতিথিশালা তৈরির জন্য প্রশাসন লক্ষ-লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। অথচ আদিবাসী এলাকার গ্রামীণ রাস্তার হাল ফেরানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
প্রধানের আশ্বাস, ‘‘রাস্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button