রাজনীতিরাজ্য

গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বৈঠকের ডাক কেন্দ্রীয় সরকারের, ক্ষুব্ধ মমতা

গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বৈঠকের ডাক কেন্দ্রীয় সরকারের, ক্ষুব্ধ মমতা

পার্বত্য জেলা দার্জিলিংকে নিয়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার ইস্যুকে প্রকারান্তরে উসকে দিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বৈঠক ডেকেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে রাজ্য সরকার।

আগামী বুধবার সকাল ১১টায় দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে বসার জন্য ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষণ রেড্ডি। তিনি গতকাল রোববার এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র সচিব, দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক, জিটিএ বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রিন্সিপাল সচিব এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুংকে।

গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য এঁদের জানানো হলে ক্ষুব্ধ হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সকারের সচিবালয় নবান্ন থেকে এরপরেই জানা যায় কেউ ওই বৈঠকে যোগ দেবে না। কারণ, রাজ্য সরকার কখনো চায় না পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে আলাদা গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গঠন হোক। এই রাজ্যের কোনো জাতীয় রাজনৈতিক দলও চায় না পশ্চিমবঙ্গ দ্বিখণ্ডিত হোক।

আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো মাফিয়ারাজ চলছে’: দিলীপ ঘোষ

রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্ন সূত্রে বলা হয়েছে, রাজ্যের জেলা শাসক পর্যায়ের কোনো অফিসারকে কেন্দ্রীয় সরকার এভাবে ডাকতে পারেন না। কোনো বৈঠকে রাজ্যের কোনো অফিসারকে পাঠানো হবে বকি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাজ্য সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়। তাই এই ধরনের কোনো চিঠি রীতিমতো বিস্ময়কর। আর এটি কেন্দ্রীয় সরকারের এখতিয়ার বহির্ভূত।

মূলত দার্জিলিংকে ভেঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছিল। তবে দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায়। মমতা এই আন্দোলনের মূল শক্তি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে ভেঙে দিয়ে জনমুক্তি মোর্চার বহু নেতাকে নিজেদের দলে ভেড়ান। যদিও জনমুক্তি মোর্চার নেতা ও দলের সভাপতি বিমল গুরুং এই আন্দোলন বেগবান করে তুলেছিলেন। সেই বিমল গুরুং এখন আত্মগোপন করে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঝুলছে হত্যা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানা মামলা।

আরও পড়ুন : ভিড়ের আড়ালে মাস্কে মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত মণীশ, চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে

বাংলায় নির্বাচন এলেই কয়েকটি রাজনৈতিক ইস্যু উঠে আসে রাজনৈতিক অঙ্গনে, প্রতিবারই। এর মধ্যে মাওবাদী, দার্জিলিংসহ নানা রাজনৈতিক বিষয় আছে। আগামী বছরের এপ্রিল বা মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে গোর্খাল্যান্ডের ইস্যুকে উসকে দিতেই এই বৈঠকের ডাকা বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button