পূর্ব মেদিনীপুর

বীর বিপ্লবী লালা হর দেয়ালের ১৩৬ তম জন্ম জয়ন্তী….

বীর বিপ্লবী লালা হর দেয়ালের ১৩৬ তম জন্ম জয়ন্তী….

নিজস্ব সংবাদদাতা, নন্দকুমার : লালা হর দয়াল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সক্রিয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন।তিনি বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করার জন্য প্রেরণা ও উৎসাহিত করেছিলেন। এরজন্য তিনি আমেরিকায় গিয়ে গদর পার্টীর স্থাপন করেন।

তিনি প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে দেশভক্তির অনুভব জাগান যা পরবর্তি সময়ে গভীর হয়ে উঠে। কাকোরী কাণ্ডের পর ১৯২৭ সালের মে মাসে লালা হর দয়ালকে ভারতে ফিরে আনার প্রচেষ্টা চালানো হয় যদিও এতে ব্রিটিশ সরকার অনুমতি না থাকায় প্রয়াস ব্যর্থ হয়।

কিন্তু ১৯৩৮ সালে তাকে ভারতে আনার পুনরায় চেষ্টা করলে ব্রিটিশ সরকার অনুমতি দেন কিন্তু ১৯৩৯ সালের ৪ ঠা মার্চ তারিখে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া নামক স্থানে রহস্যময় ভাবে তার মৃত্যু হয়। লালাহর দয়াল ১৪ অক্টোবর ১৮৮৪ সালে চীরখানা দিল্লীতে জন্মগ্রহন করেন।

তাঁর গুরু ছিলেন লালা লাজপত রায়। লালা হর দয়াল লাহোরে এম.এ. অধ্যয়ণরত সময়ে লাহোরে যুবকের মনোরঞ্জনের জন্য একটি মাত্র ক্লাবে ছিল। দুর্ভাগ্যবশতঃ একদিন ক্লাবের সচিবের সহিত লালার তুমুল ঝগড়া হয়। ফলে লালা ক্রোধিত হয়ে ইয়ঙ্গ ম্যান ইন্ডিয়া এসোসিয়েশন নামক ক্লাব স্থাপন করে।

আরও পড়ুন : ক্রমাগত বাড়ছে যাত্রী সংখ্যা, চাপ কমাতে এবার রাত ৯ টায় শেষ মেট্রো

লালা হর দয়াল অধ্যয়ন করা কলেজে মোহম্মদ আল্লামা ইকবাল নামক একজন অধ্যক্ষ ছিলেন যিনি দর্শনশাস্ত্র পড়াতেন। তাদের দুইজনের সহিত সুগভির মিত্রতার সম্পর্ক ছিল।লালার অনুরোধে মোহম্মদ ইকবাল এসোসিয়েশনের উৎঘাটন সমারোহে অধ্যক্ষতা করার জন্য রাজী হন।

এই সমারোহ অনুষ্ঠানে ইকবাল তার প্রসিদ্ধ রচনা সারে জাহাঁ সে অচ্ছা গানটি গেয়ে শোনান। পরবর্তি সময়ে এই গান ভারতের রাষ্ট্রীয় গানের মর্যদা লাভ পায়।

লালাজীকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সকল প্রয়াস প্রায় অসফল হওয়ার পর ১৯২৭ সালে তিনি ইংল্যান্ডে থেকে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ইংল্যান্ডে তিনি ড্রাক্ট্রিন্স অফ বোধিসত্ব নামক পুস্তক রচনা করেন। লালাজী ভারতে ফিরে আসবেন কিনা এই সমন্ধে সকল ভারতীয়রা নানান মন্তব্য প্রকাশ করেন।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ ১৯৩৯ সালের ৪ ঠা মার্চ তারিখে রহস্যজনক ভাবে লালাজীর মৃত্যু হয়। লালাজীর বাল্যবন্ধু লালা হনুমন্ত সহায় মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বলেছেন যে- লালা হর দয়ালের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলনা,তাকে বিষ প্রয়োগ করে মারা হয়েছে।

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে ইংরেজদের এই নির্মম অত্যাচার দেশের স্বাধীনতার পথ ক্রমশ প্রসস্থ করেছন। আজ সেই বিপ্লবী শহীদের জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানানো হয় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার অন্তর্গত ব্যবত্তারহাট এলাকায়।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button