স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান যোদ্ধা বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্মভিটা আজ খন্ডহরে পরিণত
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১০৫৩ টি পুজো কমিটির জন্য রাজ্যসরকার অনুদান প্রদান করল ৫ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। দীঘাতে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করতে রাজ্য সরকারের বরাদ্দ ১২ কোটি টাকা।
আম্ফান ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান যোদ্ধা দেশপ্রাণ “বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের” জন্মভিটা আজও খন্ডহরে পরিণত হয়েছে।
দেশপ্রাণ ব্লকের চন্ডীভেটী গ্রামে দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্মস্থানে যাওয়ার রাস্তাও খানাখন্দভরা ও চলাচলের অনুপযুক্ত।
দেশপ্রাণের জন্মদিনে ছুটি, তাঁর জীবন- সংগ্রামের ইতিহাস পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করন, দেশপ্রাণের নামে বিশ্ববিদ্যালয়, মহিলা কলেজ,মেডিক্যাল কলেজ, আইন কলেজ, নার্সিং কলেজ, ডিগ্রি ইন্জিনিয়ারিং কলেজ ইত্যাদি স্থাপন দূরের কথা তাঁর জন্মভিটা ঝোপঝাড়, সাপখোপ, জঙ্গলের রূপ পেয়েছে।
আঁতুড় ঘরের ইট খসে খসে পড়ছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, হেরিটেজ কমিশন সহ সব দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরে দেশপ্রাণ ব্লকের হতভাগ্য লোকজন কে আজও বিফল মনোরথে দিন কাটাতে হচ্ছে। দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের প্রতি অবহেলা ও বঞ্চনা সত্যই বেদনাদায়ক।
আরও পড়ুন: শিক্ষারত্ন সম্মানের টাকায় বেলপাহাড়ির স্কুলে বসবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি, উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকের
সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে অবিলম্বে দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্মভিটা সংরক্ষণ, তাঁর সংগ্রামের ইতিহাস কে পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করন, তাঁর নামে বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান স্থাপন, তাঁর জন্মদিন কে ছুটির তালিকাভূক্ত করন ইত্যাদির দাবি জানিয়েছেন।
সিপিআইএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন দেশপ্রাণ “বীরেন্দ্রনাথ শাসমল” তাঁর জীবদ্দশায় ইংরেজদের কাছে মাথা নত করেন নি। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর মরদেহ কে দাঁড় করিয়ে পোড়ানো হয়েছিল।
এই রকম স্বাধীনচেতা ও বশ্যতা বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী র প্রতি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অবহেলা ও উদাসীনতা সত্যই হৃদয়বিদারক ঘটনা বলে অভিমত প্রকাশ করেন সিপিআইএম নেতা মামুদ হোসেন।
