ঝাড়গ্রাম

সিসি ক্যামেরার নজরে হর্ষিণী ও দুই শাবক

স্বপ্নীল মজুমদার

সিসি ক্যামেরার নজরে হর্ষিণী ও দুই শাবক
নিজস্ব চিত্র

ঝাড়গ্রাম: চিতাবাঘ হর্ষিণীর দুই শাবক দিব্যি খেলে বেড়াচ্ছে। ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ও প্রাণিচিকিৎসকের পরিশ্রমের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন চিড়িয়াখানার অধিকর্তা।

তবে প্রাণিচিকিৎসকদের পরামর্শে এখনও আরও কয়েক মাস শাবক সহ স্ত্রী চিতাবাঘটিকে একান্তে থাকতে দিতে চান চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের গোড়ায় প্রথমবার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিল হর্ষিণী। গত এপ্রিলে একটি শাবকও প্রসব করেছিল। কিন্তু সেটিকে খেয়ে ফেলেছিল হর্ষিণী।

তাই গত ২ সেপ্টেম্বরে ফের জোড়া শাবক প্রসবের পরে সব সময়ে সিসি টিভির মাধ্যমে হর্ষিণীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দু’টিই পুরুষ শাবক। মাস দু’য়েকের শাবক দু’টি এখনও হর্ষিণীর স্তন্যপান করছে। এখনও মাংস খেতে শেখেনি তারা। হর্ষিণীকে দেওয়া কাঁচা মাংস মাঝে মধ্যে চেটে দেখে দুই শাবক। বিকেলে শাবকদের নিয়ে এনক্লোজারে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে হর্ষিণীকে।

আরও পড়ুন: শ্রাবন্তীর তৃতীয় সংসারেও ভাঙনের সুর

২০১৭ সালের অক্টোবরে উত্তরবঙ্গের খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল পুরুষ চিতাবাঘ সোহেলকে। সোহেলের স্বভাব শান্ত। গত বছর হর্ষিণীকেও খয়েরবাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে উত্তরবঙ্গের একটি চা বাগান বস্তি থেকে ধরা পড়েছিল হর্ষিণী।

সিসি ক্যামেরার নজরে হর্ষিণী ও দুই শাবক
নিজস্ব চিত্র

এবারে অন্তঃসত্ত্বা হতেই হর্ষিণীর এনক্লোজারের ধারে পাশে কর্মীরা যাতায়াত বন্ধ করে দেন। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় হর্ষিণীর গতিবিধির নজরদারি শুরু হয়। সন্তর্পণে এনক্লোজার লাগোয়া খাবার ঘরে পর্দার আড়াল দিয়ে পর্যাপ্ত মাংস দেওয়া হতে থাকে প্রতিদিন।

চিড়িয়াখানার মাংশাসী প্রাণিদের সপ্তেহে ছ’দিন খাবার দেওয়া হয়। হর্ষিণীকে অবশ্য অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সপ্তাহে সাতদিনই পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর দু’টি পুরুষ শাবক প্রসব করে হর্ষিণী।

আরও পড়ুন ::

Back to top button