ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে প্রশান্ত রায়, পরিষেবার প্রত্যাশায় পুরবাসী
স্বপ্নীল মজুমদার
ঝাড়গ্রাম: প্রায় দু’বছর ঝাড়গ্রাম পুরসভায় নির্বাচিত পুরবোর্ড নেই। পুর পরিষেবা নিয়ে দিনদিন ক্ষোভ বাড়ছিল ঝাড়গ্রাম শহরবাসীর মধ্যে। সেই ক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছিল নবান্নেও। তাই বিধানসভা ভোটের আগে প্রশাসককে সরিয়ে নতুন পুরবোর্ড গঠন করে চেয়ারপার্সন নিয়োগ করল রাজ্য সরকার।
ঝাড়গ্রাম পুরসভার সরকার মনোনীত চেয়ারপার্সন হলেন প্রশান্ত রায়। ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রশান্তবাবু পেশায় আইনজীবী। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম পুরভবনে আনুষ্ঠানিক দায়িত্বভার নেন তিনি। প্রশান্তবাবুকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন বিদায়ী প্রশাসক তথা ঝাড়গ্রাম সদরের মহকুমাশাসক সুবর্ণ রায়। সেই সঙ্গে নবনিযুক্ত পুর প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর কল্লোল তপাদারও দায়িত্ব বুঝে নেন। এদিন দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশান্তবাবুকে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানানো হয়।
প্রশান্তবাবু প্রথম দিনেই পুরসভার প্রতিটি বিভাগের কর্মীদের জানিয়ে দেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ওয়াচডগ’। প্রশান্তবাবু বলেন, ‘‘ভাল কাজ করলে সেলাম জানাব। খারাপ কাজ করলে কোনও আপোষ করব না। পুরবাসীদের সাধ্যমতো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।’’ প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিকসভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রশান্ত রায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি চলে যাবেন না তো! সেদিন প্রশান্তবাবু শহরের বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের রায়তি জমির সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে এমন প্রশ্ন করেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়।
আরও পড়ুন : প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধানের প্রয়াণ বার্ষিকীতে শ্রমজীবী ক্যান্টিনে স্মরণসভা
তৃণমূলের একাংশ বলতে শুরু করেন, প্রশান্তবাবুর উপর মুখ্যমন্ত্রী সন্তুষ্ট নয়। যদিও প্রশান্তবাবুর হিতাকাঙ্ক্ষীরা দাবি করেছিলেন, প্রশাসন ও শাসকদলের একাংশ প্রশান্তবাবুর নামে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষমহলের কান ভারী করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত প্রশান্তবাবুকেই মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারপার্সন পদে বেছে নেওয়ায় এখন শাসকদলের কে-কে তাঁর ঘনিষ্ঠ হবেন সেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
ক’দিন আগেও যে তৃণমূল নেতারা প্রশান্তবাবুর নামে বিষোদ্গার করতেন শুক্রবার তাঁদেরই প্রশান্তবাবুর গাঁ ঘেষে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে। যা দেখে অনেকে বলছেন ক্ষমতার কী অপার মহিমা!