ঝাড়গ্রাম

সর্ডিহায় স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজ প্রত্যাহার, প্রতিবাদে রেল অবরোধ এলাকাবাসীর

সর্ডিহায় স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজ প্রত্যাহার, প্রতিবাদে রেল অবরোধ এলাকাবাসীর

ঝাড়গ্রাম: টাটা-হাওড়া স্টিল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের স্টপেজের দাবিতে সোমবার সকালে সর্ডিহা স্টেশনে তিন ঘন্টা রেল অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

২০০৩ সাল থেকে স্টিলের স্টপেজ ছিল সর্ডিহায়। করোনা আবহে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। ১৬ অক্টোবর থেকে দূর পাল্লার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। অগ্রিম আসন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। কিন্তু ১ ডিসেম্বর থেকে সর্ডিহা স্টেশন থেকে অনলাইনে অগ্রিম আসন সংরক্ষণের অপশনটা তুলে দেয় রেল। উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী ওই দিনই সর্ডিহার স্টেশন ম্যানেজারকে ডেপুটেশন দেন। বাসিন্দাদের আশঙ্কা ছিল, স্টিলের স্টপেজ তুলে দেওয়ার আগে এটিই বোধহয় প্রথম ধাপ। সমস্যার কথা জানিয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি দিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। কিন্তু রবিবার থেকে স্টিলের স্টপেজ তুলে নেয় রেল।

আরও পড়ুন : বেলপাহাড়িতে ‘আর্যভ’-র উদ্যোগে থ্যালাসেমিয়া ও ব্লাড ক্যানসার সচেতনতা শিবির

সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সর্ডিহা স্টেশনে লাইনে বসে পড়ে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। অবরোধের জেরে আটকে পড়ে স্টিল এক্সপ্রেস ও জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। ঝাড়গ্রাম ব্লকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন সর্ডিহায় স্টিল না থামায় সমস্যায় পড়েন সর্ডিহা, মানিকপাড়া, বালিভাসা-সহ আশেপাশের বহু গ্রামের বাসিন্দারা। এখন টাটা-খড়্গপুর শাখায় লোকাল ট্রেন চলছে না। ফলে হাওড়া বা টাটা যাওয়ার জন্য এলাকাবাসীর কাছে স্টিল এক্সপ্রেসই ছিল মূল ভরসা।

এদিন সকালেই স্থানীয় বাসিন্দাদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে স্টেশনে প্রায় ঘন্টা দু’য়েক ছিলেন সাংসদ কুনার হেমব্রম। সাংসদ বলেন, ‘‘এলাকাবাসীর ন্যায্য দাবির সঙ্গে আমার সহমত রয়েছে। রেলের সর্ডিহায় ফের স্টিলের স্টপেজের জন্য রেলের বিভিন্নস্তরে জানিয়েছি।’’ খড়্গপুর থেকে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এসে আশ্বাস দেওয়ার পরে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ অবরোধ ওঠে। যদিও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কোনও স্টেশনে যাত্রী সংখ্যা আশানুরূপ না হলে স্টপেজ তুলে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কী হয়েছে খতিয়ে দেখা হবে।’’ ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি-র সভাপতি সুখময় শতপথী সর্ডিহায় স্টিলের স্টপেজের দাবিতে এদিন টুইট করেছেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button