নাড্ডা-কৈলাসকে ফোন প্রধানমন্ত্রীর
গতকাল ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে শিরাকোলে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের মদতেই পুরো কাণ্ডটি ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আর সেই রিপোর্ট পেয়ে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোন করেন বিজেপি সভাপতিকে।
ঘটনার সবিস্তার খবর নেন তাঁর কাছ থেকে। উল্লেখ্য গতকালের ঘটনায় আহত হয়েছেন বিজেপি সহ-সভাপতি মুকুল রায়, এ রাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়সহ অনেকেই। নাড্ডার গাড়ির কাচে বড় পাথর ছোড়া হয়। গাড়িটি বুলেটপ্রুফ না হলে তিনি গুরুতর আহত হতেই পারতেন। এই সমস্ত বিষয়ের খোঁজ প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু বিজেপি সভাপতি বলে নয়, কৈলাসকেও প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছেন।
আরও পড়ুন: বিজেপি প্রধানের কনভয়ে হামলায় কেন্দ্রকে রিপোর্ট রাজ্যপালের
কৈলাসের হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে প্রধানমন্ত্রী যখন নাড্ডা এবং কৈলাসদের ফোন করছেন, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করেন মুকুল রায়কে। প্রায় আট মিনিট ধরে তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা চলে বলে খবর। কোথায় কিভাবে হামলা হয়েছিল, তাঁরা এখন কেমন আছেন,এই সমস্ত খুঁটিনাটি যাবতীয় বিষয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন বলে খবর।
উল্লেখ্য বিজেপি সভাপতির রাজ্য সফরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা একেবারেই ঠিক ছিল না বলে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। তারপরই পুরো বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় সরকারকে। এর পাশাপাশি ১৪ ডিসেম্বর দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। কনভয়ে হামলার ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত কথা তাঁদের সঙ্গে বলবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা।
সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে পারেন বলে সূত্রে জানা যাচ্ছে। এদিকে ফোন করার পাশাপাশি নাড্ডা এবং কৈলাসের সঙ্গে হামলার ঘটনাটি নিয়ে বৈঠক করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাও জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে। তাই এটা পরিষ্কার, যে লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে গতকাল ডায়মন্ডহারবারের শিরাকোলে, সেটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সুত্র: প্রথম কলকাতা