খেলা

সচেতন, নেশামুক্ত মানুষ হয়েও সৌরভ কেন হৃদরোগে আক্রান্ত?

সচেতন, নেশামুক্ত মানুষ হয়েও সৌরভ কেন হৃদরোগে আক্রান্ত? - West Bengal News 24

ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী ব্যক্তিজীবনে বেশ সচেতন ছিলেন। প্রতিদিন জিম করতেন। মদ-সিগারেটের নেশা ছিল না। লাল মাংস খেতেন না। সব দিকে ছিল খুঁটিনাটি নজর। কিন্তু সময়ের অভাবে নিজের শরীরের দিকে পুরোপুরি খেয়াল রাখতে পারেননি কলকাতার ‘মহারাজ’। করপোরেট যুগের এই ভয়ানক ব্যস্ততার কারণেই তার শরীরে হানা দিয়েছে হৃদরোগ। গত কয়েক বছরে তিনি কোনো চেকআপ করিয়েছেন বলে শোনা যায়নি।

কলকাতার ফিটনেস ট্রেনার রণদীপ মৈত্র বলেছেন, ‘সৌরভের যেটা হয়েছে, সেটা খুব স্বাভাবিক। শুধু তার কেন, এই জিনিস যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রেই হতে পারে। আমি মনে করি, বয়স ৪০ পার হলেই প্রত্যেক মানুষের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত। বছরে অন্তত দুইবার। বেশির ভাগ মানুষই নিজের শরীরের অসুস্থতা সম্পর্কে সচেতন নয়। পরীক্ষা করাতে গিয়েই সেগুলো ধরা পড়ে। সৌরভ যখন এত গুরুত্বপূর্ণ একটা পদে আছে, তখন তার আরো বেশি করে নিজের খেয়াল রাখা প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন : বিয়ের প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ বলেই গভীর খাদে তরুণী, অতঃপর..!

জানা গেছে, এর আগেও সম্ভবত একবার মৃদু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌরভ। তবে সে সময় বুঝতে পারেননি কিংবা পাত্তা দেননি। অনেকে বলছেন তার পারিবারিক ইতিহাসের কথা। সৌরভের বাবা চণ্ডী গাঙ্গুলী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। সে কারণে সৌরভের আরো বেশি করে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। বর্তমান সময়ে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান এনেছে ‘জেনেটিক টেস্টিং’। যার মাধ্যমে সহজেই শরীরে ঘাপটি মেরে থাকা রোগ সম্পর্কে জানা যায়।

রণদীপ আরো বলেন, ‘এখনকার দিনে জেনেটিক টেস্টিং বলে একটা বিষয় এসেছে। যেকোনো অ্যাথলেটের ক্ষেত্রেই আমরা আগে জেনেটিক টেস্টিং করিয়ে নিই। যদি শরীরে কোনো গুরুতর রোগ বাসা বেঁধে থাকে, তাহলে সেটা সহজেই ওই পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে। তখন সেটার নির্দিষ্ট চিকিৎসা করানো যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই সুবিধা সবারই গ্রহণ করা উচিত। বিশেষত এমন মানুষদের, যাদের শরীরের ওপর কাজের মারাত্মক প্রভাব পড়ে।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button