ঝাড়গ্রাম: বসন্ত পঞ্চমীর দিনে ৯০ টি পরিবার হয়ে ওঠে যৌথ এক পরিবার! এক সামিয়ানার তলায় একসঙ্গে পুষ্পাঞ্জলি, খাওয়াদাওয়া। সেই সঙ্গে মজলিশি আড্ডা। সাংস্কৃতিক মঞ্চে আবাসিকদের অনুষ্ঠান। ৩৬৫ দিনের রোজনামচা থেকে দু’টো দিন একেবারেই অন্য রকম ভাবে কাটে ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা সরকারি আবাসনের বাসিন্দাদের।
প্রতি বছরের মত এবারও সরস্বতী পুজোয় সামিল হলের সরকারি আধিকারিক, কর্মী ও তাঁদের পরিজনেরা। বাছুরডোবা সরকারি আবাসন কল্যাণ সমিতির সম্পাদক তথা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের বাস্তুকার জয়ন্ত ঘোষাল জানালেন, এবার করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দেবীর পুজোর পরে ফলপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের পাতে ছিল খিচুড়ি, বেগুনি, পাঁচ মেশালি তরকারি, চাটনি, পাঁপড় আর রসগোল্লা।
আরও পড়ুন : বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পথ চলা শুরু করল নবগ্রাম প্রেস ক্লাব
সন্ধ্যায় পুজো প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক মঞ্চে গান, নাচ, আবৃত্তি সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন প্রিয়া দে, স্বপ্নিল মণ্ডল, নীলাদ্রিজা চট্টোপাধ্যায়, সুবর্ণারেখা চট্টোপাধ্যায়, মধুবন মজুমদার, সাত্বিক ঘোষাল, শ্রীনাভ ঘোষ, অদৃজা মাইতি, আত্রেয়ী মুর্মু, অঙ্কিতা চক্রবর্তী সহ আবাসনের অনেকেই। পুজোর রাতে নৈশভোজে ছিল রাধাবল্লভী, চানা মশলা, ফুলকপি পনিরের তরকারি আর মিহিদানা।
বুধবার প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। এদিন দুপুরে প্রীতিভোজে আমিষ খাবারে আপ্যায়িত করা হবে আবাসিকদের। জয়ন্তবাবু বলেন, “আবাসনের ৯০টি পরিবারের সবার সহযোগিতায় এবারও সুচারুভাবে বাগদেবীর আরাধনা হয়েছে। বসন্ত পঞ্চমীর দিনটি আমাদের কাছে সম্প্রীতির মেলবন্ধনের দিন!”