ঝাড়গ্রাম

ভোট লুঠ আটকাতে সীমান্ত সিলের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

স্বপ্নীল মজুমদার

ভোট লুঠ আটকাতে সীমান্ত সিলের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর - West Bengal News 24

বাহারুনা ও লালগড়: বিজেপি ভোট লুঠ করতে চায় অভিযোগ তুলে সীমান্ত সিল করার দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলায় দু’টি নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “বিজেপি রোজ কোটি কোটি টাকা নিয়ে আসছে। বর্ডারগুলো সিল করতে হবে। আমার কাছে খবর আছে ভোটের দু’দিন আগে বহিরাগত গুণ্ডারা রেলে চেপে আসবে। গাড়িতে চেপে আসবে। এবং এসে আপনাদের ভোট লুঠ করে নিয়ে যাবে।” মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “ওরা ভোট লুঠ করলে আপনার ঘরও একদিন লুঠ করে নিয়ে যাবে। আপনার সন্তান, সম্পদ, সম্মান সব লুট করবে।’’

ঝাড়গ্রাম জেলার চার প্রার্থীর সমর্থনে এদিন দু’টি সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রামের দুই প্রার্থীর সমর্থনে প্রথম সভাটি করেন গোপীবল্লভপুর বিধানসভার অন্তর্গত বেলিয়াবেড়া ব্লকের বাহারুনা ফুটবল মাঠে। এরপর ঝাড়গ্রাম বিধানসভার প্রার্থী সাঁওতালি সিনেমার অভিনেত্রী বিরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda) ও বিনপুরের প্রার্থী দেবনাথ হাঁসদার সমর্থনে লালগড়ের সজীব সংঘের মাঠে দ্বিতীয় সভাটি করেন। দু’টি সভায় জেলার চার প্রার্থীকে জেতানোর আবেদন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা করে দিয়েছি।

ভোট লুঠ আটকাতে সীমান্ত সিলের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর - West Bengal News 24

বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, সেতু, চারটে সরকারি কলেজ, আইটিআই, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সহ সব কাজ করেছি। ৩২ হাজার ছেলেমেয়েকে স্পেশাল হোম গার্ড, জুনিয়র কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দিয়েছি। লোকসভা আসনটা বিজেপি রিগিং করে জিতে দু’বছরে কিছু দেয়নি।” জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানোর ক্ষেত্রে নিজের কৃতিত্ব দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাম আমলে মাওবাদী সন্ত্রাস পর্বে যখন কেউ আসত না, তখন তিনিই এলাকায় নিয়মিত এসে অত্যাচারিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সিপিএমের হার্মাদ গুন্ডারাই এখন বিজেপিতে গিয়েছে দাবি করে মমতা বলেন, “বিজেপির লোকেরা টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করবে। মনে রাখবেন ওই টাকা আপনাদেরই ট্যাক্সের টাকা। টাকা দিলেও ওদের ভোট দেবেন না।”

এদিন বাহারুনার সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে পায়ে প্লাস্টার করা অবস্থায় দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন, নয়াগ্রামের প্রার্থী তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু। ওই সভায় গোপীবল্লভপুরের প্রার্থী খগেন্দ্রনাথ মাহাতো ও প্রাক্তন সাংসদ ও জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র উমা সরেন হাজির থাকলেও তাঁরা বক্তৃতা করার সুযোগ পাননি। লালগড়ের সভায় অবশ্য প্রার্থী বিরবাহা হাঁসদা, জেলা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন বিরবাহা সরেন টুডু, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো মমতার আগে বক্তৃতা করেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button