বর্ধমান

ভরা বাজারে বিজেপি এজেন্টের বৌদিকে কান ধরে ওঠবোস করালেন তৃণমূলের নেত্রী

ভরা বাজারে বিজেপি এজেন্টের বৌদিকে কান ধরে ওঠবোস করালেন তৃণমূলের নেত্রী - West Bengal News 24

ভাসুর বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিল। ‘অপরাধ’ সেটাই। আর সে জন্যই কড়া শাস্তি পেতে হল বৌদিকে। ভরা বাজারে কান ধরে ওঠবোস করালেন শাসক দলের এক মহিলা পঞ্চায়েত কর্মী।

ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল পূর্ব বর্ধমানের বৈকন্ঠপুর এলাকা। ২ নম্বর পঞ্চায়েতের হ্যাচারি রোড ক্যানেলপাড়ে ভরা বাজারের মধ্যে এক মহিলাকে একটানা কান ধরে ওঠবোস করানো হচ্ছে এমন দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, এক মহিলা কান ধরে উঠছেন আর বসছেন। চারপাশে লোকজনের ভিড়। বাজারের থলি হাতে পাশেই দাঁড়িয়ে ওই মহিলার মেয়ে। আর সামনে দাঁড়িয়ে চোখ রাঙিয়ে নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন ২ নম্বর পঞ্চায়েতের নেত্রী মিতা দাস। ধমকধামকের চোটে তাঁর মুখের মাস্ক গলায় নেমে এসেছে। তবুও থামছেন না। এদিকে কান ধরেই হাউহাউ করে কেঁদে যাচ্ছেন ওই মহিলা।

কিন্তু তাতে মন গলছে না তৃণমূলের ওই নেত্রীর। ভোট পরবর্তী হিংসার এও এক নজির বটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মহিলার ভাসুরের নাম প্রশান্ত। বর্ধমান উত্তর বিধানসভার ৩১ নম্বর জেলা পরিষদের একটি বুথের দায়িত্বে ছিলেন প্রশান্তবাবু। তাঁর বৌদিও বিজেপির সমর্থক।

স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ভাসুর ও বৌদি দুজনেই বিজেপির সমর্থক হওয়ায় তাঁদের পরিবারকে এই চরম লজ্জাজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হল। ভরা বাজারে এক মহিলার মানসম্মান নিয়ে টানাটানি হল। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায় বলেছেন, ‘ওই মহিলার ভাসুর আমাদের বুথ এজেন্ট ছিলেন। তাই এই শাস্তি পেতে হল। তিনি একজন বাড়ির বৌ, কারও সহধর্মিনী। সকলের সামনে অপমানিত হতে হল তাঁকে।

পুলিশকে আমরা জানিয়েছি, কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ এদিকে গোটা ঘটনাতেই তাঁর ভূমিকা অস্বীকার করে মিতাদেবী বলেছেন, ‘এটা নিন্দনীয় ব্যাপার। আমি কিছু করিনি। আমার নামে মিথ্যা প্রচার হয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষই এই কাণ্ড করেছে। আমি ঘটনাচক্রে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ‘ মিতা দেবীর আরও অভিযোগ, বুধবার বিজেপি কর্মীরা এলাকায় ভাঙচুর করে। পুলিশ এসে দুজনকে ধরেও নিয়ে গিয়েছিল। ওই মহিলার স্বামীও ছিলেন সেই দলে।

বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছিল এলাকায়। তাই জন্য এলাকাবাসী ক্ষেপে গিয়েছিল। আজ ওই মহিলা ঘর থেকে বের হলে তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করে স্থানীয়রা। মিতাদেবীর দাবি, তাঁরা গিয়েই ওই মহিলাকে বাঁচিয়েছেন। বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিকের বক্তব্য, ‘এই রকম ঘটনা আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আমাদের কোনও কর্মী এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।’

সূত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button