ঘটে জমানো পয়সা দিয়েই রবীন্দ্র মূর্তি স্থাপন নদীয়ার শান্তিপুর নৃসিংহপুর অঞ্চলে, এলাকায় শুরু হলো রবি পুজো

ওঁদের কাছে, নেতাজি রবীন্দ্রনাথ মানে সরস্বতী লক্ষী কিংবা কার্তিক গণেশ এর মতন আর পাঁচটা ঠাকুরের মতো। ঠাকুরের সিংহাসনের স্থান পায় ছোটো মূর্তি। পাঁচ ছ কিলোমিটার দূরে শান্তিপুর শহরে 23শে জানুয়ারি, বাইশে শ্রাবণ কিংবা 25 শে বৈশাখ যখন পালিত হতো তখন তারা মনোকষ্টে ভুগতো, পরিবার বা পাড়ার অন্য সদস্যদের দেখাতে পারার জন্য।

এখন অবশ্য এন্ড্রয়েড মোবাইলে দৌলতে কিছু বছর যাবত তা সম্ভব হচ্ছে। তবুও মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে তার সম্পর্কে দু-চার কথা বলার সৌভাগ্য কয়জনেরই বা হয়! তার ওপর মফস্বলের অত্যন্ত গ্রাম্য পরিবেশে ধান চাল আড়ৎ এ কাজ করা শ্রমিক পরিবারের কাছে তা একেবারেই অনভিপ্রেত। কিন্তু ওই অঞ্চলের সুখের ঠিকানা নামক একটি সংস্থার এ প্রজন্মের পড়াশোনা করা কিছু ছেলে মেয়ে এলাকার সকল বিত্তশালী মানুষদের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা তুলেছিলেন শুধু মাত্র দুটি মূর্তি স্থাপন করার জন্য।

তা হলো নেতাজি এবং রবীন্দ্রনাথের। সেইমতো দুটি মূর্তির অর্ডার দেওয়া হয় একই সাথে ,গত তেইশে জানুয়ারি 2021 এ নৃসিংহ পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল গেটের এক পাশে স্থাপিত হয়েছিলো নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি। আর তার কিছুদিন বাদে আজ 25 শে বৈশাখ কবিগুরু জন্মদিনে অপর এক পাশে স্থাপন করা হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি।

এলাকার অধিবাসীরা জানান, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা পুজো দেওয়ার দায়িত্ত আমাদের। এতদিন সিংহাসনেই পুজো দিয়ে এসেছি ! এবার বড় মূর্তি স্কুলের গেটে! পার্থক্য শুধু এইটুকু। এলাকায় দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যত আজ থেকে শুরু হল রবি পুজো। কচিকাচাদের মুখে ফুঠলো হাসি, গর্বিত অধিবাসী।