ঝাড়গ্রাম

ঈদের দিনে বিনপুরের দুঃস্থদের পোষাক দিল নয়াগ্রাম ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি

স্বপ্নীল মজুমদার

ঈদের দিনে বিনপুরের দুঃস্থদের পোষাক দিল নয়াগ্রাম ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: রমজান মাসের শেষে পালিত হল খুশির ঈদ। কিন্তু এবার করোনা মহামারীর বাড়বাড়ন্তের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ পড়লেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। করোনার জন্য দিন আনা দিন খাওয়া গরিব মানুষজনের এবার আনন্দ করার মতো পরিস্থিতি নেই। অনেকের এবার নতুন জামা কাপড় হয়নি। এমনই গরিব জনা সত্তর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সী মানুষজনের হাতে নতুন জামা কাপড় তুলে দেওয়া হল।

শুক্রবার ঈদের বিকেলে ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার নয়াগ্রাম ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে ক্লাবের নিজস্ব ভবনে এক অনুষ্ঠানে ৬৯ জন সংখ্যালঘু মানুষজনকে নতুন জামাকাপড় দেওয়া হল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, বিনপুরের আইসি হিমাংশু বিশ্বাস, স্থানীয় জামে মসজিদের ইমাম মহম্মদ শাকিল আখতার, তৃণমূলের লালগড় ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতো, ক্লাবের সম্পাদক শেখ আলিসান আলি প্রমুখ।

ক্লাবের সম্পাদক শেখ আলিসান আলি বলেন, ‘‘অতিমারীর আবহে দরিদ্রদের অনেকেই ইদের নতুন পোশাক কিনতে পারেননি। এরকমই ৬৯ জনকে নতুন পোশাক ও মাস্ক দেওয়া হয়েছে।” এদিন বিনপুর থানার আইসি হিমাংশু বিশ্বাস সবাইকে করোনা নিয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যথা অথবা পেট খারাপের উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলে জানান তিনি। সবাইকে মাস্ক পরতে ও কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন হিমাংশুবাবু।

বিনপুরের নয়াগ্রামের জামে মসজিদের ইমাম মহম্মদ শাকিল আখতার জানালেন, এদিন সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েক দফায় ৫০ জন করে ঈদের নামাজ পড়েছেন। নামাজের পরে এবার কোলাকুলি করে বা হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে নিষেধ করা হয়। সকলে তা মেনেছেন। এবার ঈদ উপলক্ষে জমায়েত করে জলুস ও অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।

এদিনই ঝাড়গ্রাম জেলা করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে একজন সংখ্যালঘুকে জামবনির টুনকাশোলে কোভিড কবর স্থানে গোর দেওয়া হয়। বাকিদের সৎকার হয় ঝাড়গ্রামের নহড়খাল শ্মশানে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button