ঝাড়গ্রাম: সাঁওতালি সিনেমার জগৎ থেকে পাকাপোক্ত ভাবে বিদায় নিলেন মহানায়িকা। রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছেন, আর রুপোলি পর্দায় ফিরবেন না তিনি।
এখন থেকে জনসেবাই তাঁর জীবনের ব্রত। ঝাড়গ্রাম বিধানসভা আসনে এবার ৩৮২৪০ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন বিরবাহা। ভোটের প্রার্থী ঘোষণার একদিন বিরবাহা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
বিরবাহার সমর্থনে সাঁওতালি সিনেমার অভিনেতা, দশরথ হাঁসদা, লক্ষ্মণ সরেন, রাজুরাজ বিরুলি, সাঁওতালি চিত্র পরিচালক প্রবাল মাহাতোর মতো বিশিষ্টজনেরা প্রচারে ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন। সাঁওতালি সিনেমা জগতে অতি পরিচিত মুখ হলেন ঝাড়গ্রামের বিরবাহা হাঁসদা।
সাঁওতালি সিনে-জগতে তাঁর বিশেষণ ‘মহানায়িকা’। সব মিলিয়ে ১৯টি সাঁওতালি ছবিতে অভিনয় করেছেন বিরবাহা। ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত টানা সাতবার অল ইন্ডিয়া সান্তালি ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের তরফে পেয়েছেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। এছাড়াও ২০০৮ থেকে বেশ কয়েকবার ‘পণ্ডিত রঘুনাথ অ্যাকাডেমি অফ সান্তালি সিনেমা অ্যান্ড আর্ট (রাসকা) অ্যাওয়ার্ড’ও পেয়েছেন।
বিরবাহা অভিনীত জনপ্রিয় ছবি গুলির মধ্যে রয়েছে ‘পাটাবিঁধা’, ‘আদো আলম আঁসোআ’, ‘আলম রেজিঞ সাকোম সিঁন্দুর’, ‘জাঁয়োআই ওড়া বঙ্গাই চাপাড় কিদিঞ’, ‘আম বেগর’, ‘ফুলমণি’।
বিরবাহার জীবনের স্মরণীয় ছবি প্রবাল মাহাতো পরিচালিত ‘বারডু’। মাওবাদী সমস্যা নিয়ে তৈরি ছবিটির জন্য ২০১৬ সালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও পান বিরবাহা। গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় ছবিটি।