অপরাধ

ফোন ধরেননি তাই ৭৬ বছরের বৃদ্ধাকে বন্দী করা হলো কারাগারে

ফোন ধরেননি তাই ৭৬ বছরের বৃদ্ধাকে বন্দী করা হলো কারাগারে - West Bengal News 24

চলতি করোনা মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে চার হাজার কয়েদীকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে কারাদণ্ড স্থগিত করে গৃহবন্দি করে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্প প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করবেন বলে মনে করা হলেও দেখা যাচ্ছে জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার পরই হোয়াইট হাউস প্রায় সব কয়েদীকে কারাগারে ফেরত পাঠাতে চাইছে।

ওই বন্দীদের মধ্যে একজন হলেন ৭৬ বছর বয়সী নারী গোয়েন লেভি। তিনি কম্পিউটার ওয়ার্ড-প্রসেসিং ক্লাসে ছিলেন বলে কর্মকর্তারা কয়েক ঘণ্টা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তাই তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ১২ জুন থেকে একটি ওয়াশিংটন ডিসির জেলে রয়েছেন। লেভিকে কমপক্ষে এক কেজি হেরোইন বিক্রি করার অভিযোগে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।

ইতোমধ্যে তিনি মেরিল্যান্ড থেকে টেক্সাসে আলাবামার বিভিন্ন জেলে ১৬ বছর কারাভোগ করেছেন। গৃহবন্দি থাকার জন্য কারাগার থেকে বের হওয়ার পরে তিনি তার ৯৪ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে বাল্টিমুরে ফিরে এসে কারাগারের আইনজীবী সংস্থায় স্বেচ্ছাসেবীর কাজ শুরু করেন। সেখানে তিনি বেতনভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি তার পুত্র এবং নাতিদের সঙ্গেও সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করেছিলেন।

লেভি বাল্টিমোরের ইনার হারবারে কম্পিউটার ক্লাস করছিলেন যখন কর্মকর্তারা তার গোড়ালিতে থাকা মনিটরের মাধ্যমে সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে আবিষ্কার করলেন যে তিনি বাড়ি ছিলেন না। পরে তিনি কয়েক ঘণ্টার জন্য তার ফোন ধরেননি। পরে ১টা ১৭ মিনিটে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এ সময়ের মধ্যে জেলখানার ব্যুরো অব প্রিজেন তার এই অনুপস্থিতিকে ‘পলায়ন’ হিসাবে চিহ্নিত করে।

এ বিষয়ে লেভি তার আইনজীবীর মাধ্যমে বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমি সঠিক কাজ করার চেষ্টা করছিলাম। নিয়ম ভাঙা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমি কী ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করার এবং সত্য বলার চেষ্টা করেছি। আমি কখনই ভাবিনি যে আমার কম্পিউটার ক্লাসে যাওয়ার কথা ছিল না।

কারাগারের ব্যুরো অফ প্রিজনসের মুখপাত্র ক্রিস্টি এ ব্রেশিয়ার্স বলেন, মহামারি শেষ হলে যাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে, তাদের ছেড়ে দেয়া হবে কিনা সে ব্যপারে ব্যুরো অফ প্রিজন সিদ্ধান্ত নেবে।

সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট।

আরও পড়ুন ::

Back to top button