দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়াতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
দেশে করোনা অতিমহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনের ব্যাপক সংকট দেখা গিয়েছিল। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য শুক্রবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। এর আগে মোদী টিকাকরণ নিয়ে বৈঠকে বসেন ২৬ জুন।
দেশে টিকাকরণ কী হারে এগচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি খোঁজখবর নেন। ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অব ভ্যাকসিন অ্যাডমিনস্ট্রেশনের প্রধান এন কে অরোরা এদিন বলেন, ‘ধীরে ধীরে ভ্যাকসিনের সরবরাহ বাড়ছে।’ নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ‘জুন ও জুলাই মাসে ভ্যাকসিনের সরবরাহ কিছু বেড়েছে। মে পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫ কোটি ৬০ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ পাওয়া যাচ্ছিল।
এখন পাওয়া যাচ্ছে ১০ থেকে ১২ কোটি। আগামী মাসগুলিতে ডোজের সংখ্যা বেড়ে হবে ১৬ থেকে ১৮ কোটি। সেপ্টেম্বর মাসে ৩০ কোটির বেশি ডোজ পাওয়া যাবে।’ অরোরার মতে নতুন টিকাকেন্দ্র তৈরি করাও যথেষ্ট কঠিন কাজ। এই কাজের দায়িত্ব রাজ্যগুলিকে নিতে হবে। সরকার চায় দেশে ৭৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টিকাকেন্দ্র তৈরি হোক। কিন্তু রাজ্যগুলি এখনও অত টিকাকেন্দ্র তৈরি করতে পারেনি।
৫৬ দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ কমার পরে গত তিনদিনে দেশে ফের বেড়েছে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা। গত ৮ জুলাই আটটি রাজ্য ও তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যা। গত মাসে দিল্লি এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসবেই। ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে তা আসতে পারে।
শুধু সংক্রমণ নয়, চিন্তা বাড়িয়েছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে মারা গেছেন ৯১১ জন। সংখ্যাটা গতকালের তুলনায় প্রায় ১০০ বেশি। সব মিলিয়ে ফের নতুন করে চিন্তিত কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গেছে, সামগ্রিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিতে শুক্রবারই জরুরি বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে তথ্য চাইতে পারেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৩৯৩ জন। পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলমুক্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৫৯ জন। দেশে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭২৭।
সূত্র : দ্য ওয়াল