বন্দুক দেখিয়ে নির্বাচনে জয় তৃণমূলের! বিধায়কের ফেসবুক মন্তব্যে বিতর্ক চরমে
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে। ২ মে বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে এই তিনমাসে তিনি কমবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন না। গত কয়েকদিনে যেন বিতর্কিত মন্তব্যের বহর আরও বেড়েছে। এবার ফেসবুক বার্তায় তিনি দলের একাংশের নির্বাচনে জয়কে খোঁচা দিলেন।
বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বিতর্ক উসকে দিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, যাঁরা বন্দুক-রিভলভার দেখিয়ে ভোটে জেতেন, তাঁদের জনগণের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা থাকে না। আমি ওভাবে ভোটে জিতিনি। জিততে চাইও না। তাঁর কথায়, আমি জিতেছি মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ আর আপনাদের ভালোবাসায়।
একাংশ বিধায়কের জয় নিয়ে তিনি খোঁচা দেন। ফেসবুকে লেখেন, যাঁরা বন্দুক দেখিয়ে ভোটে জেতেন, তাঁদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে না। তাঁরা মনে করে ওইভাবে বারবার জিতে যাবে। আমি ওভাবে জিতিনি বলেই আমরা দায়বদ্ধতা আছে। আমি আপনাদের প্রতি দায়বদ্ধ, কৃতজ্ঞ আভূমি প্রণত। তাঁর এই পোস্টে দলের একাংশকেই যে তিনি কটাক্ষ করলেন, তা স্পষ্ট।
এখন প্রশ্ন, তিনি কাদের বিরুদ্ধে বন্দুক দেখিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ করলেন। এ প্রসঙ্গে বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর স্পষ্ট অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী হয়েছে খোঁজ নিন। হুগলিতে তৃণমূলের একটা অংশ বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। তারাই সব কাজে বাধার সৃষ্টি করছে। সব কাজে বিধায়ককে বাধা দিচ্ছে। অশান্তি তৈরি করছে।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ফেসবুকে মনের কথা তুলে ধরে বিতর্ক বাধিয়েছিলেন বলাগড়ের বিধায়ক। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর রাজনীতিতে আসা উচিত হয়নি। তাঁর ওই বিবৃতি দলত্যাগের জল্পনা উসকে দিয়েছিল। সেই জল্পনাকর পরিপ্রেক্ষিতে মনোরঞ্জন ব্যাপারী জানিয়েছিলেন, তিনি দলত্যাগের কথা ভাবছেনও না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। নিজের সাধ্যমতো দায়িত্ব পালন করতে তিনি তৈরি।
তিনি এদিন বলাগড়বাসীর প্রতি ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে জানান, আপনারা যে ‘দুয়ারে বিধায়ক’ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হলেন, তার জন্য আমার প্রতি নয়, আপনার রাগ তাদের প্রতি হওয়া উচিত, যাঁরা বলাগড় অঞ্চ পরিষেবা প্রদানের কাজে বাধা দিয়ে যাচ্ছেন।
আপনারা যাকে এত কষ্ট করে ভোটে জেতালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের বিধায়ককে তারা অনবরত নোংরা ভাষায় অপমান করছে, কুৎসা করছে। এটা শুধু দলের নয়, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়, এটা পুরো বলাগড়বাসীর অপমান।
সুত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া