“ফাঁসির দড়িতে মোমের প্রলেপ কেন”, বিদায় মঞ্চে ক্ষুদিরামের শেষ প্রশ্নের প্রসঙ্গ তুলে জিনাকুড়ির শহিদ-স্মরণ
স্বপ্নীল মজুমদার
জিনাকুড়ি (ঝাড়গ্রাম): বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ১১৪ তম আত্মবলিদান দিবসে বিশেষ ভাবে তাঁকে স্মরণ করলেন ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুরের জিনাকুড়ি গ্রামের বাসিন্দারা।
বুধবার ‘জিনাকুড়ি মনীষী স্মরণ সমিতি’র পক্ষ থেকে শহিদ ক্ষুদিরামের আত্মবলিদান দিবস পালন করা হয়। গ্রামের একঝাঁক কচিকাঁচা যোগ দিয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। সেখানে ভাব গম্ভীর পরিবেশে ক্ষুদিরামের প্রতিকৃতিতে মালা দেওয়ার পরে বিপ্লবীর সাহসী আত্মবলিদানের বিষয়ে আলোচনা করেন আয়োজকরা।
১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট। জেলের ভিতরে তৈরি হয়েছিল ১৫ ফুট উঁচু এক ফাঁসির মঞ্চ। দুই দিকে ছিল দুই কাঠের খুঁটি। তার উপর ছিল মোটা লোহার রড। আর তারই মাঝখানে মোটা দড়িতে ক্ষুদিরাম বসুকে ফাঁসি দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।
ফাঁসির আগে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তখন প্রশাসনিক হেড। হাতে রুমাল। আর এমনই এক গুরুগম্ভীর পরিস্থিতিতে চির বিদায়ের আগে উপস্থিত আইনজীবীদের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু।
এহেন পরিস্থিতিতে পড়ে অবাক হয়েছিলেন বিচারক কর্নডফ। ‘ফাঁসিতে যে মরতে হবে, সেটা বুঝতে পারছো কি’, তরুণ ক্ষুদিরামকে প্রশ্ন করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
গলায় ফাঁসির দড়ি পরানো মাত্র জল্লাদকে ক্ষুদিরাম প্রশ্ন করেছিলেন ‘ফাঁসির দড়িতে মোম দেওয়া হয় কেন?’ এটাই ছিল বীর শহিদের জীবনের শেষ কথা। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিল জল্লাদও।
এদিন অবাক বিস্ময়ে ক্ষুদিরামের কথা শোনে এলাকার খুদেরা। এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের জেলখানা মোড়ে পুরসভার পক্ষ থেকে ক্ষুদিরামের অবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।