উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে রাজ্যে কংগ্রেসের ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। জিতিন প্রসাদের মতো শীর্ষ নেতা বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। এবার উল্টো চিত্র পাশের রাজ্য উত্তরাখন্ডে (uttarakhand)। সেখানেও সামনের বছর বিধানসভা ভোট। সোমবার সেই পাহাড়ি রাজ্যের বিজেপি সরকারের (bjp) পরিবহণমন্ত্রী (minister) যশপাল আর্য্য, তাঁর ছেলে সঞ্জীব আর্য্য কংগ্রেসে (congress) যোগ দিলেন। সঞ্জীব নৈনিতালের বিজেপি বিধায়কও (mla)।
সোমবার বাবা,ছেলে নয়াদিল্লিতে হরিশ রাওয়াত, রণদীপ সুরজেওয়ালা, কে সি বেনুগোপালের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেন। সুরজেওয়ালাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই বলেছে, বিজেপির সদস্যপদ, উত্তরাখন্ডের মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর যশপালকে কংগ্রেসে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে যশপাল উত্তরাখন্ডের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন ২০০৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত।
আজ তিনি ঘরে ফিরলেন, জানিয়েছেন বেনুগোপাল। তাঁর দাবি, উত্তরাখন্ডে হাওয়া কোনদিকে বইছে, ওঁদের কংগ্রেসে যোগদান তারই ইঙ্গিত। বাজপুরের বিজেপি বিধায়ক ছিলেন যশপাল।
আরও পড়ুন : বিশ্বকে একজোট করবে মহাকাশ, ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্বোধনে বললেন মোদি
৫ মাসও বাকি নেই উত্তরাখন্ডে নির্বাচনের। তার প্রাক্কাসে সপুত্র যশপালের কংগ্রেস যোগদানে বিজেপি বড় ধাক্কা খেল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। পুষ্কর সিং ধামির বিজেপি সরকারে তাঁর হাতে ছিল ৬টি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। ২০১৭ সালে বিধানসভা ভোটের মুখে যশপাল, সঞ্জীব কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তখন শোনা গিয়েছিল, তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের কাজকর্মের ধারায় খুশি ছিলেন না তাঁরা।
যদিও আসল কারণ নাকি ছিল এটা যে, কংগ্রেস তাঁর ছেলেকে ভোটে টিকিট দিতে চায়নি। বিজেপিতে যেতেই তিনি নৈনিতালে টিকিট পান, জয়ী হন। তবে এবার নাকি যশপাল মুখ্যমন্ত্রী ধামির ওপর বিরক্ত হয়ে উঠছিলেন। ধামি তাঁকে বোঝাতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর বাড়ি পর্যন্ত গিয়ে প্রাতঃরাশ বৈঠক করেন। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি।
সূত্র: দ্য ওয়াল