বাবাকে কুপিয়ে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ ছেলের, ছেলের কীর্তিতে হতবাক পুলিশ
বাবা ও ছেলে উভয়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকত। এদিকে তাদের নেশা করা নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত। স্বামী ও সন্তানের নেশার জ্বালায় তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে কোনওরকমে আশ্রয় নিয়েছিলেন মা। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ২৮ বছর বয়সী ছেলে উদয় সাঁতরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাবা মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।
হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের গজা সাঁতরা পাড়ার ঘটনা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ৪৮ বছর বয়সী মৃত্যুঞ্জয়। বাবাকে এই অবস্থায় ফেলে রেখে সোজা থানায় চলে যায় ছেলে। সঙ্গে করে কুড়ুলটিও নিয়ে যায় ছেলে। সূত্রের খবর, থানায় গিয়ে বাবাকে খুনের কথা কবুল করে ছেলে উদয় সাঁতরা।
আরও পড়ুন : ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন, সিদ্ধান্ত রাজ্যের
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিরাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাবা ও ছেলের মধ্যে ঝগড়া, মারপিট হত। বৃহস্পতিবার রাতে বাবা ঘরে শুয়েছিল। প্রচন্ড রাগে কুড়ুল তুলে বাবার শরীরে আঘাত করে ছেলে। প্রতিবেশীরা বলেন, বাবা ও ছেলে দুজনেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকত। বাবা ঘরে শুয়েছিল। তখনই এলোপাথারি বাবার শরীরে কোপ মারে। ছেলেই বাবাকে খুন করেছে। নেশার জন্যই এই ভয়াবহ ঘটনা হয়েছে।
অপর এক প্রতিবেশী ঝর্ণা সাঁতরা বলেন, দেখলাম কুড়ুলটাকে এক হাতে নিয়ে দরজায় চাবি দিচ্ছে। এরপর দেখলাম কুড়ুল নিয়ে থানায় চলে গেল। তবে এদিন ঝগড়ার শব্দ শোনা যায়নি। মৃতের স্ত্রী পারুল সাঁতরা বলেন, স্বামী মারধর করে পরের বাড়িতে শুতে আসতাম। আমি ঘটনার কথা কিছুই জানি না। ছেলের সঙ্গে কী হল কিছুই জানত না। স্বামী ও ছেলে দুজনেই গাঁজা ও মদ খেত। নেশা করে দুজনে ঝামেলা করত। পয়সাকড়ি নিয়ে ছেলে ও বাবার মধ্যে ঝামেলা হত।
সুত্র : হিন্দুস্তান টাইমস