ঝাড়গ্রাম: পদ হারিয়েও মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন দেবনাথ দে। দীপাবলি উপলক্ষে ঝাড়গ্রাম শহরের শবর শিশুদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিলেন তরুণ ছাত্রনেতা। কয়েকদিন আগে ফেসবুক লাইভ-এ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘গদ্দার’ বলেছিলেন। বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের দলে ফেরানোর জন্য ফেসবুকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে পোস্ট করেছিলেন।
যার জেরে ঝাড়গ্রাম শহর টিএমসিপির সভাপতির পদ হারিয়েছেন দেবনাথ। বৃহস্পতিবার দীপাবলি উপলক্ষে ঝাড়গ্রাম শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের লোধা-শবর বস্তির ৫০ জন শিশুর হাতে নতুন পোশাক তুলে দেন দেবনাথ। টিএমসিপির ঝান্ডা নিয়ে দেবনাথের সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের অন্য সদস্যরাও। দেবনাথের দাবি, ‘‘সংগঠনের একজন কর্মী হিসেবে ওই কর্মসূচি করেছি। মানুষের কাজ করতে পদের দরকার হয় না।’’
আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে ‘দুয়ারে পুলিশ’
টিএমসিপির জেলা সভাপতি আর্য ঘোষ বলছেন, ‘‘টিএমসিপির কর্মীরা সারা বছর ধরে নানা সামাজিক কর্মসূচি করে থাকেন। এটিও তেমনই একটি কর্মসূচি।’’ রবিবার ফেসবুকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে পোস্ট করে এবং ফেসবুক লাইভে বিজেপি থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল ফেরানো নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে প্রশ্নও তোলেন দেবনাথ।
রবিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে ফেরা নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে প্রশ্ন তোলেন দেবনাথ। দলে যোগ্য নেতা থাকতেও কেন গদ্দারদের ফেরানো হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলে দেবনাথ ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, সব্যসাচীরা জঙ্গলমহলে এসে মঞ্চে বড় বড় ভাষণ দিলে আমরা নিচু তলার কর্মীরা তাঁদের ধিক্কার জানাতে বাধ্য হব।’
সেই সঙ্গে ফেসবুকে একটি পোস্টে দেবনাথ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘আপনাকে বাংলার যুবরাজ মেনে চলেছি, আপনি নিজের স্বার্থে তৃণমূলের সকল কর্মীকে ছোট করলেন।’ ওই পোস্ট ও ভিডিয়ো নজরে আসতেই সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে দেবনাথকে পদ থেকে সরানোর জন্য টিএমসিপির শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য সংগঠনের জেলা সভাপতি আর্য ঘোষকে ফোন করে নির্দেশ দেন। আর্য জানান, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী শহর সভাপতি পদ থেকে দেবনাথকে সরানো হয়েছে।