সম্পর্ক

ট্যাব-ল্যাপটপের কাছে ‘মৌন’ যৌনজীবন

ট্যাব-ল্যাপটপের কাছে ‘মৌন’ যৌনজীবন - West Bengal News 24

বিছানায় প্রযুক্তির অনুপ্রবেশের ফল কী? দেখা যাচ্ছে, প্রায় এক দশক আগেও যেখানে গড় ব্রিটেনবাসী মাসে অন্তত ছ’বার যৌনসংসর্গ করতেন, এখন গড়ে পাঁচবারও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের রাস্তায় হাঁটেন না৷ ২০১০ থেকে ২০১২-র মধ্যে চালানো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পুরুষদের ক্ষেত্রে এই গড় ৪.৯, মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪.৮৷ অথচ আগের সমীক্ষাগুলিতে উভয় ক্ষেত্রেই গড় ছিল ৬-এর উপর৷

দুশ্চিন্তার শেষ এখানেই নয়৷ কেননা, প্রযুক্তি নির্ভরতার এই প্রবণতায় ছড়াচ্ছে সামাজিক ব্যাধিও৷ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১৬ থেকে ৪৪ বছরের যুগলরা অনলাইন পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছেন৷ নীলছবিই তাদের কাছে যৌনমিলনের বিকল্প৷ মার্সার বলছেন, ‘এ-ও বেডরুমে প্রযুক্তির অবাধ প্রবেশের ফল৷’

স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি যৌনসম্পর্কে মানুষের আগ্রহ কমছে? উত্তর, হ্যাঁ৷ মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে সমীক্ষায় অনেকে স্বীকার করেছেন, শারীরিক সম্পর্কের আকর্ষণ ক্রমেই তাদের কাছে ফিকে হচ্ছে৷ যদিও যাদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাদের অতীত কিন্ত্ত বেশ ‘রঙিন’ই ছিল৷ দেখা গিয়েছে, ৪৪ বছরের নীচে মহিলারা গড়ে ৭.৭ জনের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করেছেন৷

আরও পড়ুন : যে ৪টি লক্ষণে বুঝবেন প্রেমিক আপনাকে বিয়ে করতে আগ্রহী নয়!

আর একই বয়সের পুরুষরা? তাদের ক্ষেত্রে গড় ১১.৭! অথচ সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, প্রতারক সঙ্গীকে সহ্য করতে পারেন না অধিকাংশ মানুষ৷ তবে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ নিয়ে তেমন আপত্তি নেই৷ বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে৷ ১৯৯০ সালে যেখানে ১.৮ শতাংশ মহিলা সমলিঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন, সর্বশেষ সমীক্ষায় সেটাই দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ শতাংশে৷ পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার কমবেশি সাড়ে তিন শতাংশেই দাঁড়িয়ে৷

প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক হলো, বর্তমান জীবনধারায় কেউই আর ‘একা’ নন৷ ফেসবুক, টুইটারের মতো সঙ্গী আছে যে! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌনজীবনের ক্ষেত্রে এই ইতিবাচক দিকই খলনায়ক৷ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অনেকেই ‘একা’ থাকতে পছন্দ করেন৷ তার মানে এই নয় যে, যৌনতার প্রতি তাদের কোনো আকর্ষণ নেই৷ কেননা, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যৌনতার স্বাদ তাদের অনেকেই নেন৷ কিন্ত্ত যৌনসঙ্গীতে তীব্র আপত্তি৷ এর ফলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগও কমছে৷ কমছে সংসার পাতার প্রবণতাও৷ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সন্তানধারণের ক্ষেত্রে কিন্ত্ত রীতিমতো হিসেব কষেই সকলে এগোচ্ছেন৷ ছ’টির মধ্যে প্রতি পাঁচটি ক্ষেত্রেই পরিকল্পিত ভাবে গর্ভধারণ হয়েছে৷

সমীক্ষাটি ব্রিটেনে চালানো হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশে ফলাফলে খুব বেশি হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা কম৷ কেননা, উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তির অগ্রগতি কমবেশি একই৷ আর্থ-সামাজিক মাপকাঠিতেও বিশাল ফারাক নেই৷

আরও পড়ুন ::

Back to top button