ঝাড়গ্রামের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের শতবর্ষ শুরু হচ্ছে আগামী বছর। ১৯২৪ স্কুলটি সরকারি অনুমোদন পায়। ১৯২৭ সালে ঝাড়গ্রামের রঘুনাথপুরে পাকা স্কুল ভবনে পঠনপাঠন শুরু হয়। ওই বছর থেকে স্কুলের সরস্বতী পুজোর শুরু।
একশো বছরের স্কুল হলেও মূর্তি দিয়ে স্কুলের সরস্বতী পুজোটি ১৯২৮ সাল থেকে শুরু হয়। এবার ৯৫ তম বর্ষের সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছিল শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারি। স্কুলের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১৬০০ ছাত্র সহ আমন্ত্রিত ১৮০০ জনকে খাওয়ানো হল ফ্রায়েড রাইস, বেগুনি, পনির-ফুলকপির তরকারি, আলুর দম, চাটনি পাঁপড়, রসগোল্লা, বোঁদে। আগে প্রীতিভোজে খিচুড়ি খওয়ানো হত।
আরও পড়ুন :: জমজমাট ঝাড়গ্রাম জঙ্গলমহলের পুরভোট, লড়াইয়ের ময়দানে ৬৫ প্রার্থী
বছর ছ’য়েক ধরে ফ্রায়েড রাইস খাওয়ানো হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত জানালেন, বহু আগে বোঁদে খাওয়ানো হত। সেই কারণে শতবর্ষের দোরগোড়ায় এবার প্রীতিভোজে বোঁদে খাওয়ানো হয়েছে। করোনার কারণে বিভিন্ন ব্যাচে এদিন ছাত্রদের খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করেন ব্রজেশ্বর বড়াল, অরূপশঙ্কর নন্দী, সুমিত পাত্র, রজত সামন্ত, অঞ্জন মিশ্র, অতীন সেনাপতি, নারায়ণ পাল, সুফল চক্রবর্তী, মানবেন্দ্র ঘোষ, সুব্রত দাস, প্রদ্যোৎকুমার দাস, কিঙ্কর ঘোষ, শিক্ষিকা তাপসী মণ্ডল, উমা সাঁতরা, মৌমিতা দাস, সুপর্ণা চক্রবর্তী, শুচিশ্রী পান্ডা, বিনোদিনী মণ্ডলের মত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আন্তরিক ভাবে তাঁরা ছাত্রদের পরিবেশন করেন। এদিন আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন পারক্তন ছাত্র তথা অবসরপ্রাপ্ত পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক তুষারকান্তি সৎপথী, স্কুলের সভাপতি তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান শিবেন্দ্রবিজয় মল্লদেব, রাণী বিনোদমঞ্জরী রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকা পুষ্পলতা মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টজনরা। ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অনুপকুমার দে সহ প্রাক্তন শিক্ষকরাও।
দ্বাদশ শ্রেণির কিরীটি রায় বলে, ‘‘করোনার জন্য গত বছর প্রীতিভোজের আনন্দটা হয়নি। এ বছর খুব আনন্দ হয়েছে।’’ প্রীতিভোজের রান্নার দায়িত্বে ছিল ঝাড়গ্রামের সুপরিচিত মহাদেব ক্যাটারার।